জাতীয়

রেমিট্যান্সে ঝিমিয়ে প্রথাগত দেশ, শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র

গোলাম মওলা

ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর – দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোয় সব সময় শীর্ষ অবস্থানে ছিল সৌদি আরব। এবার দেশটিকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক গিয়েছেন সৌদি আরবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে যাওয়ায় শীর্ষ তিনে চলে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) প্রতিবেদন ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সাধারণত, প্রবাসী শ্রমিক বা রেমিট্যান্সের প্রসঙ্গ এলে কখনও যুক্তরাষ্ট্রের নাম আসে না। সবার সামনে আসে সৌদি আরবের নাম। কারণ, বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রায় ৬০ শতাংশের গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে বরাবরই সৌদি আরব থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছিল। কিন্তু অবৈধ পথে টাকা পাঠানোর সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় এবার মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের পেছনে চলে গেল।

বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন শুধু সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, শ্রমবাজারের সবচেয়ে আলোচিত দেশ ইতালি। এই ইতালি যাওয়ার কাহিনি গ্রামেগঞ্জে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। অথচ ইতালির চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে যুক্তরাজ্য থেকে। যদিও যুক্তরাজ্য যাওয়া নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে কোনও মাতামাতি নেই। একইভাবে সব মহলে আলোচনায় থাকা মালয়েশিয়াকে পেছনে ফেলে সামনে এসেছে কুয়েত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে যুক্তরাজ্য থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ৫৮৫ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন ডলার। একই সময়ে ইতালি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৪৩ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার। এদিকে তিন মাসে কুয়েত থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৪০৩ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার। এই সময়ে মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২৪ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ডলার। যদিও প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সাড়ে ৭ শতাংশ থাকেন মালয়েশিয়ায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের ১২ শতাংশের মতো থাকেন ওমানে। অথচ চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ওমান থেকে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১৮০ দশমিক ১০ মিলিয়ন ডলার।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের নানা প্রান্তে বাংলাদেশিরা কাজ করলেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রেমিট্যান্স আসে মূলত ৩১টি দেশ থেকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধস নেমেছে মালয়েশিয়ার রেমিট্যান্সে। এই দেশ থেকে আসা আয় কমেছে ৫০ শতাংশের মতো।

শতকরা হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কমেছে সিঙ্গাপুর থেকে। শতকরা হিসাবে ২০ শতাংশের মতো পতন হলেও টাকার অঙ্কে রেমিট্যান্স সবচেয়ে বেশি কমেছে সৌদি আরব থেকে।

গত অর্থবছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী সোয়া কোটির মতো প্রবাসী ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৬ লাখ (২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। এই অঙ্ক আগের বছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কমার পেছনে প্রধান কারণ সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াপ্রবাসীদের কম অর্থ পাঠানো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সৌদি আরবের জেদ্দায় বসবাসকারী এক বাংলাদেশি জানান, সৌদিতে বাড়তি আয় করলে সেই টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে পাঠানো যায় না। টাকা পাঠাতে হলে পাসপোর্ট, আয়ের উৎসসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট জমা দিতে হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্সের অর্থ বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন। এ ছাড়া ডলারের দামে বড় ধরনের তারতম্যের কারণে হুন্ডিতে পাঠালে ব্যাংকের চেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে।

বিএমইটির তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দেশটি থেকে এসেছে ৯৯ কোটি ৯৮ লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা। সৌদি থেকে এসেছে ৯৯ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ সৌদির চেয়ে ৭ লাখ ডলার বেশি এসেছে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা বাড়ছে। নানা পেশায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলেও দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাদের। অনেকের উপার্জনও ভালো।

আবার যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকে টাকা রাখলে মুনাফা পাওয়া যায় না। তার চেয়ে দেশে টাকা পাঠিয়ে প্রবাসী বন্ড কিনলে ১০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যায়। আড়াই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা এবং বন্ড কিনে মুনাফার আশায় এখন ইউএসএ থেকে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এ ছাড়া
যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়ার আগে বিনিয়োগের সুযোগ আগের তুলনায় কমে এসেছে। তাই সেখান থেকে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে প্রচুর শিক্ষার্থী সেখানে পড়তে গেছেন। তারাও ডলার পাঠাচ্ছেন। আর তুলনামূলক দেশটিতে দক্ষ ও সচেতন কর্মীরা যান।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স যে পরিমাণ বেড়েছে, তার চেয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমাদের রেমিট্যান্স আসা আগের তুলনায় কমে গেছে। তাই আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স খুব বেশি না বাড়লেও সেটি প্রথম স্থানে চলে এসেছে।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীরা তাদের পাঠানো আয়ের সবটুকুই পাঠান বৈধ পথে, সেখানে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিকদের অনেকেই নেন হুন্ডির আশ্রয়। এটিও একটি কারণ বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, হুন্ডি বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল থেকে ভবিষ্যতে রেমিট্যান্স আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সৌদি আরব রেমিট্যান্সে যুক্তরাষ্ট্রের পেছনে পড়লেও মাসভিত্তিক হিসাবে সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন সৌদি আরবের প্রবাসীরা। দেশটি থেকে এই মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরই আরেক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, মাসভিত্তিক হিসাবে অক্টোবরে আবারও সৌদি আরবের নাম রেমিট্যান্স-প্রবাহে শীর্ষস্থানে ফিরছে। অক্টোবর মাসে সৌদি আরব থেকে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আর একই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

জানা গেছে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বল্প শিক্ষিত, অদক্ষ ও স্বল্প দক্ষ শ্রমিক যান। তাদের অনেকের মধ্যেই ব্যাংকিং-ভীতি থাকে। এই দেশেগুলোয় যাওয়া শ্রমিকদের ছুটির দিনে সাধারণত ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউস বন্ধ থাকে। শ্রমজীবী হওয়ায় চাইলেও কাজ ফেলে তারা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে অর্থ পাঠানো তাদের জন্য অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া এই দেশগুলোয় ব্যাংকের তুলনায় বেশি টাকার প্রলোভনসহ নানা উপায়ে হুন্ডি কারবারিরা তাদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।

জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সাবেক সভাপতি আবুল বাশার বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়া থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স বেশি আসছে। ফলে এই দেশগুলোয় শ্রমিক বেশি থাকার পরও বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স কম আসছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশির সংখ্যা সব মিলিয়ে ১১ লাখের মতো। এর মধ্যে নিউইয়র্কেই থাকেন প্রায় চার লাখ। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস ও জ্যামাইকায় বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশির বসবাস। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসীরা যে টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন, তার প্রায় পুরোটাই ব্যাংকিং চ্যানেলে যাচ্ছে। সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি রেমিট্যান্স পাচ্ছে বাংলাদেশ।

মোহাম্মদ আবুল বাশার উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যারা দেশে টাকা পাঠান, তারা তুলনামূলকভাবে একটু বেশি অর্থ দেশে পাঠাতে পারেন। তাদের অনেকেই আবার বন্ডে বিনিয়োগ করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে যাওয়ায় শীর্ষ তিনে চলে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি থেকে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ১২৫ মিলিয়ন ডলার কম রেমিট্যান্স এসেছে। গত দুই অর্থবছরে দেশটি তালিকার সর্বোচ্চ দ্বিতীয় স্থানে ছিল।

চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৮৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার। দেশটি থেকে সেপ্টেম্বর মাসে ১৭ কোটি ৫ লাখ বাংলাদেশি টাকা প্রবাসী আয় এসেছে।

বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে গেছেন ৮ লাখ ৭৪ হাজার শ্রমিক।
চলতি বছর বিদেশে কাজের জন্য যাওয়া বেশির ভাগ প্রবাসীরই গন্তব্য সৌদি আরব।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে অভিবাসী হয়েছেন ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৫৩ বাংলাদেশি শ্রমিক। ২০২১ সালেও দেশটিতে পাড়ি দিয়েছেন ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৭ জন।
সৌদি আরব ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুরেও গিয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি। কিন্তু এই দেশগুলোয় দিন দিন কমে আসছে রেমিট্যান্স।

এ বিষয়ে প্রবাসীরা এবং দেশে থাকা তাদের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রবাসীরা ঠিকই দেশে থাকা স্বজনদের কাছে অর্থ পাঠাচ্ছেন। ব্যাংকিং চ্যানেলে না পাঠিয়ে তারা পাঠাচ্ছেন মূলত হুন্ডিতে। এ জন্য তারা দায়ী করছেন দেশের অস্থির ডলার বাজারকে। ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দর কম পাওয়ার অভিযোগ তাদের। একই অঙ্কের টাকা হুন্ডিতে পাঠালে বেশি দর পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

পরিস্থিতি উত্তরণে ডলারের দর নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের তরফে সঠিক পদক্ষেপের পাশাপাশি হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারি সংস্থাগুলো উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিলে রেমিট্যান্সের এই নিম্নমুখী প্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের বিনিময় হার নিয়ে অস্থিরতার সুযোগে হুন্ডির বাজার জমজমাট হয়ে ওঠায় অভিবাসীরা অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলসহ চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের সুবিধাভোগী হলো সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো। সবচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশিরা মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করছেন। নতুন করে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি এসব দেশে অভিবাসীও হয়েছেন। এরপরও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া রহস্যজনক। তিনি মনে করেন, হুন্ডির বাজার চাঙা হওয়ার কারণেই দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছাড়াও মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি এখন চাঙা। এসব দেশ থেকে রেমিট্যান্স কমার মূল কারণ হুন্ডি বেড়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশে মন্দাভাব চলছে। এর মধ্যেও পশ্চিমা দেশগুলো থেকে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির মূল কারণ সেখান থেকে ব্যাংকের বাইরে অর্থ পাঠানোর সুযোগ কম।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
আইএ/ ১৬ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button