রাঙ্গামাটি

মা-বাবাকে জখমের পর আরেকজনকে কুপিয়ে হত্যা, গণপিটুনিতে যুবক নিহত

রাঙ্গামাটি, ১০ ডিসেম্বর – রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় মা-বাবাকে কুপিয়ে জখম করা ছেলে মঞ্জু চাকমাকে (৩০) গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় জনতা। এর আগে তার দায়ের কোপে সরল চাকমা (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের শিজক গলাচিপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে মঞ্জু চাকমা তার মা কালোচুলি চাকমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান। স্ত্রীকে বাঁচাতে তার বাবা রত্নকুমার চাকমা এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে মঞ্জু পালিয়ে যান। পরে আহত রত্নকুমার চাকমাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাঘাইছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

এদিকে, শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মঞ্জু চাকমাকে পালিয়ে যেতে দেখে আটকের চেষ্টা করে এলাকাবাসী। এসময় তাকে ধরতে গেলে সরল চাকমাকে দায়ের কোপ দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত জনতা মঞ্জুকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মঞ্জুর মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুল বিহারি চাকমা বলেন, মঞ্জু একজন মানসিক রোগী। সে আগের রাতে তার মা-বাবাকে আহত করে। পরদিন পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধরতে গেলে হাতে থাকা দায়ের কোপে সরল চাকমা নামে একজন মারা যায়। পরে উপস্থিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পিটুনি দিলে সেও ঘটনাস্থলে মারা যায়।

এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে দুইজন মারা গেছে বলে জেনেছি। মঞ্জু চাকমা মানসিক রোগী বলে খবর পাই আমরা। পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ফিরে আসলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/১০ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button