ফুটবল

বিদায় ব্রাজিল! পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হার, কাটল না ২০ বছরের খরা, সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া

দোহা, ০৯ ডিসেম্বর – বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল ব্রাজিল। ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে ছিটকে গেলেন নেমাররা। অতিরিক্ত সময়ে নেমারের গোলেও লাভ হল না। টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়া জিতল ৪-২ ব্যবধানে।

ব্রাজিল ১ (নেমার)

ক্রোয়েশিয়া ১ (পেটকোভিচ)

টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জয়ী ক্রোয়েশিয়া

বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল ব্রাজিল। ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে ছিটকে গেলেন নেমাররা। অতিরিক্ত সময়ে নেমারের গোলেও লাভ হল না। ক্রোয়েশিয়া জিতে গেল ৪-২ ব্যবধানে। আবার টাইব্রেকারে বাজিমাত করল ক্রোয়েশিয়া।

প্রথম থেকে ব্রাজিলকে চাপে রাখার চেষ্টা করতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। ব্রাজিলকে খেলার জন্য একটুও খোলা জায়গা দিচ্ছিল না তারা। বলের নিয়ন্ত্রণ বেশি ছিল ক্রোয়েশিয়ার পায়ে। মূলত প্রতি আক্রমণে গোলের চেষ্টা করছিল ক্রোয়েশিয়া। ১৩ মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে ক্রস করেছিলেন মদ্রিচ। কিন্তু সেই ক্রসে পা ঠেকাতে পারেননি পেরিসিচ।

নিজেদের আরও রক্ষ্মণাত্মক ভঙ্গিতে মুড়ে নেয় ক্রোয়েশিয়া। ব্রাজিলের কোনও ফুটবলার বল ধরলেই ছেঁকে ফেলতে থাকেন তিন-চার জন। তবে ব্রাজিলের ফুটবলাররা বল তাড়া করে যান। ২২ মিনিটে পর পর দু’টি আক্রমণ করে ব্রাজিল। প্রথমে ভিনিসিয়াস, তার পর নেমার। কিন্তু দু’টি প্রয়াসই ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ আটকে দেয়। ক্রোয়েশিয়াকে বেশি মনোযোগ দিতে দেখা যায় নেমারকে আটকানোর দিকে। তাঁকে ফাউল করা হতে থাকে বার বার। বাঁ দিকে ভিনিসিয়াসও গোলের মুখ খুলতে পারেননি।

৪২ মিনিটের মাথায় ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রিকিক করা হয়। নেমারের পাস বিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে লেগে হালকা ঘুরে গেলেও জমা পড়ে গোলকিপারের হাতে। বিরতিতে আর কোনও গোল হয়নি।

বিরতির পরে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দেয় ব্রাজিল। ম্যাচ শুরু হওয়ার দু’মিনিট পরেই জোড়া আক্রমণ বাঁচিয়ে দেয় ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ ভাগ। নেমারের শট গাভারদিয়লের পায়ে লেগে নিজের গোলেই ঢুকে যাচ্ছিল। ঝাঁপিয়ে বাঁচান ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার লিভাকোভিচ। তার পরে ক্রোয়েশিয়ার এক ফুটবলারের হাতে বল লাগলেও রেফারি ভার-এর সঙ্গে পরামর্শ করে পেনাল্টি না দেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেন।

৫৭ মিনিটে রাফিনহাকে তুলে অ্যান্টনিকে নামান তিতে। ডান দিক থেকে আক্রমণ বাড়াতে চাইছিলেন তিনি। নেমেই ডান দিকে পাস বাড়িয়েছিলেন অ্যান্টনি। অল্পের জন্য গোল হয়নি। কিছু ক্ষণ পরে পাকুয়েতার দুরন্ত শট বাঁচিয়ে দেন লিভাকোভিচ। গোলকিপারের মাথায় উপর দিয়ে লব করতে গিয়েছিলেন পাকুয়েতা। লিভাকোভিচের হাতে লেগে বল কর্নার হয়ে যায়। এর পর নেমারের শট বাঁচিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার। আবার গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু সে বারও লিভাকোভিচ ত্রাতা হয়ে ওঠেন। ৮০ মিনিটের মাথায় অ্যান্টনির ক্রস পেয়েছিলেন রদ্রিগো। তাঁর থেকে পাস পেয়েছিলেন পাকুয়েতা। তাঁর শট আবার আটকে দেন সেই লিভাকোভিচ।

অতিরিক্ত সময়ের শুরু থেকেই গোল করার মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে ব্রাজিল। কিছুতেই একটাও আক্রমণ দানা বাঁধছিল না। বার বার ক্রোয়েশিয়ার বক্সে গিয়ে প্রতিহত হচ্ছিল তাদের আক্রমণ। এর মাঝেই দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। বক্সের মধ্যে ভাল বল পেলেও বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন ব্রোজোভিচ। সহজ সুযোগ নষ্ট করে ক্রোয়েশিয়া।

অপেক্ষার মুহূর্ত শেষ হয় ১০৫ মিনিট। নেমারের অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। মাঝমাঠ থেকে মুভ শুরু করেছিলেন নেমারই। প্রথমে পাস খেলেন পেদ্রোর সঙ্গে। সেখান থেকে নেমার বল পেয়ে দেন পাকুয়েতাকে। পাকুয়েতার থেকে পাস পেয়ে গোলকিপার লিভাকোভিচকে এক টোকায় কাটিয়ে বল জালে জড়ান নেমার।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন
আইএ/ ০৯ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button