জাতীয়

আ.লীগ ও বিএনপির টাকার উৎস প্রকাশ করা হোক

ঢাকা, ০৪ ডিসেম্বর – আওয়ামী লীগ ও বিএনপির টাকার উৎস প্রকাশ করা আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক প্রতিষ্ঠিত কৃষক শ্রমিক পার্টির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এ এস এম সোলায়মান সাহেবের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এই আহ্বান জানান।

জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এ সভার আয়োজন করে কৃষক শ্রমিক পার্টি।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম, প্রশ্ন উঠেছে বিএনপির টাকার উৎস কী? আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করতে পারি আওয়ামী লীগের টাকার উৎস কী? দুই দলেরই টাকার উৎস প্রকাশ করা হোক। কেবল একজনের না।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকে আপনি যদি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে চলে যেতে পারেন, তাহলে খালেদা জিয়া কেন পল্টন যেতে পারবেন না? উনাকে জামিন দিয়েছেন, এই শর্ত বাধা জামিন তো অর্থহীন। তিনি কোথায় মিটিং করবেন সেটা তার ব্যাপার।

ইভিএম দিয়ে নির্বাচনে প্রতারণা চলবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার আর যাই করেন, দিনের ভোট রাতে করা যাবে না। মানুষকে তার ভোট দেওয়ার অধিকার দিতে হবে। আজকে সংঘাত নয়, সংলাপের প্রয়োজন। সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রয়োজন।

বিএনপির উদ্দেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করবেন না। নির্বাচনে জিতলেও প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বিরত থাকবেন।

পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এতোটা খাদেম হবেন না। আপনাদের চাকরি যাচ্ছে। যারাই একটু সঠিক পথে থাকার চেষ্টা করছেন তারাই বরখাস্ত হচ্ছেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন, নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাকখাতে রপ্তানি হয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার যাদের শ্রমে, যাদের হাতে এই অর্জন তাদের প্রতিই যত অবহেলা। আজকে স্মরণ রাখা প্রয়োজন শ্রীলঙ্কা আর ভিয়েতনামের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য কোথায়। শ্রীলঙ্কার কর্মীদের শিক্ষা বেশি, ভিয়েতনামের কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি বেশি। আমাদের শ্রমিকদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের একটি ক্ষুদ্র অংশ তাদের পেছনে ব্যয় করা দরকার। শ্রমিকের শক্তি বাড়াতে প্রতিদিন একটি করে ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ালে তার প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে যাবে।

জাফরুল্লাহ বলেন, আজকে শ্রমিকের আয়ের ৩২ শতাংশ চলে যায় চাল কিনতে। মাছ তো দূরের কথা তারা ডালও কিনতে পারে না। আজকে যদি শ্রমিক-কৃষকরা সামরিক বাহিনীর মতো রেশন পায় তাহলে তাদের পুষ্টি পাড়বে।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমাদের যতটুকু উন্নতি হয়েছে, সেটা এ এস এম সোলায়মান সাহেবদের অবদান। আজকে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হককে আমরা সরকারিভাবে স্মরণ করি না। অথচ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক না হলে আমার আপনার কারোরই পড়ালেখা হতো না। আমাদের কোনো কৃষক তার খাদ্য জোগার করতে পারতো না।

কৃষক শ্রমিক পার্টির সভাপতি মো. সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস.এম রাজিয়া সুলতানা রত্মা সোলায়মান প্রমুখ।

সূত্র: বাংলানিউজ
এম ইউ/০৪ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button