উত্তর আমেরিকা

মিয়ানমারে ৭ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে ফাঁসি

ওয়াশিংটন, ০৪ ডিসেম্বর – জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত সপ্তাহেও সাতজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমার।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিরোধী দলকে দমন করতে মৃত্যুদণ্ডকে কৌশল হিসাবে ব্যবহার করছে জান্তা সরকার, যা নিষ্ঠুরতা ছাড়া কিছুই নয়।

ইয়াঙ্গুনভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীদের চলতি বছরের এপ্রিলে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একটি ব্যাংকের ঘটনায় গোলাগুলিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। এএফপি।

ড্যাগন ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যম ইরাবতি ওই সাতজনের নামও প্রকাশ করেছে-কো খাস্তা জিন উইন, কো থুরা মং মং, কো জাও লিন নায়িং, কো থিহা হতেত জাও, কো হেইন হাট, কো থেত পাইং ওও এবং কো খান্ত লিন মং মং।

প্রতিশোধ নিতে সামরিক বাহিনী ছাত্রদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, বুধবার গোপনে সাতজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে সামরিক আদালতে ফাঁসি দেওয়া দিয়েছে।

বর্তমানে মিয়ানমারে যা হচ্ছে, এই সংকট সামরিক সরকার সৃষ্টি করেছে। বিরোধী মত দমন করার জন্য রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে মৃত্যুদণ্ড চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তুর্ক বলেন, সামরিক বাহিনী আসিয়ান দেশগুলোর মতামতকে অগ্রাহ্য করে সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে।

এমনকি আন্তর্জাতিক কোনো আইন তারা মানছে না। জাতিসংঘের মতে, জান্তা সরকার এ পর্যন্ত ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

তবে জান্তার মুখপাত্র এএফপির কাছে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। স্থানীয় পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর মতে, সামরিক জান্তার অভিযানে এ পর্যন্ত ২ হাজার ২৮০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং ১১ হাজার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর
আইএ/ ০৪ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button