পশ্চিমবঙ্গ

কলকাতায় পৌঁছাল এক হাজার করোনা ভ্যাকসিন

কলকাতা, ২৫ নভেম্বর- ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমন! গোটা দেশেই ছবিটা কার্যত এক। তবে কিছুটা হলেও বাংলায় কমছে করোনা সংক্রমণের হার। এই পরিস্থিতি বড় খবর বাংলার মানুষের জন্যে। রাজ্যে পৌঁছল করোনা ভ্যাকসিন। ভারত বায়োটেকের তৈরি কো-ভ্যাকসিন পৌঁছল নাইসেডে।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য হায়দরাবাদ থেকে আনা হয়েছে ১ হাজার টিকা। যা নিঃসন্দেহে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বড় খবর। জানা যাচ্ছে, কো-ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। সেই কারণেই ১ হাজার টিকা আনা হয়েছে। আপাতত এই গুলি নাইসেডে রাখা হয়েছে।

মাইনাস ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভ্যাকসিনগুলিকে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কো-ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে জানা যাচ্ছে।

বাংলা এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেন, এটা থার্ড ফেসের ট্রায়াল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ২৬ হাজার মানুষের মধ্যে ট্রায়ালের দায়িত্ব পেয়েছে ২৪টি সংস্থা। তার মধ্যে আমরা একটা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ট্রায়াল শুরু করে দেব।

একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই নাইসেডে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের খবর প্রকাশ্যে আসে। এরপর থেকে বহু মানুষ স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্যে এগিয়ে আসার জন্যে ফোন করছেন বলে জানিয়েছেন শান্তা দত্ত।

তবে নাইসেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হবে। গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে ২১-এর ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি বা এনআইভি এবং ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কো-ভ্যাকসিন। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে কম করেও ২০ মার্কিন ডলার দাম হবে। ডোজ পিছু ১০ ডলার। দুবার নিতে হবে করোনার টিকা স্পুটনিক ভি ( স্পুটনিক ফাইভ)। রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রক কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা তাস জানাচ্ছে এই খবর।

করোনার রুশ টিকার দুটি ডোজের ভারতীয় মুদ্রায় দাম পড়ছে হাজার টাকার একটু বেশি। মারাত্মক সংক্রামক করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে এই পরিমাণ টাকা খরচ করতে হবেই। তবে সরকারি উদ্যোগে ভর্তুকি কতটা মিলবে তা এখনও পরিষ্কার নয়।

তাস আরও জানাচ্ছে, রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ১ বিলিয়ন ডোজ তৈরি করা হচ্ছে। রুশ জনগণ এই টিকা পাবেন বিনামূল্যে। তবে এই টিকার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য আসতে চলা আরও টিকার তুলনায় সস্তা বলেই দাবি করেছে রাশিয়া।

রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আরও দাবি, মস্কো এই টিকার দাম আরও কমানোর চেষ্টা করছে যাতে সারা বিশ্বের লোক সহজেই কিনতে পারেন। মঙ্গলবার নিজেদের টিকা ৯৫ শতাংশেরও বেশি কার্যকর বলে দাবি করেছে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্পুটনিক-৫ টিকার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান একই দাবি করেছে।

অন্যদিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা ৭০ শতাংশ আবার সঠিক নিয়মে ডোজ প্রয়োগে ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রেজেনেকা। এছাড়া মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার ও এর জার্মান পার্টনার বায়োএনটেক দাবি করেছে নিজেদের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।

আবার আরেক মার্কিন কোম্পানি মডার্নার দাবি, তাদের টিকা ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকরী। তবে এই টিকার মূল্য এখনো জানানো হয়নি।

সূত্র: কলকাতা২৪x৭

আর/০৮:১৪/২৫ নভেম্বর

Back to top button