উত্তর আমেরিকা

পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান না বাইডেন

ওয়াশিংটন, ০৩ ডিসেম্বর – রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি এ তথ্য জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

জন কিরবি বলেন, এখনই পুতিনের সঙ্গে আলোচনার কোনও অভিপ্রায় প্রেসিডেন্টের নেই।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন পুতিনের তরফে সংলাপের ব্যাপারে কোনও ধরনের আগ্রহ দেখা যায়নি। বরং এর সম্পূর্ণ বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজতে যদি পুতিনের আগ্রহ থাকে তাহলে তিনি তার সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তুত রয়েছেন। তবে ওয়াশিংটন কখনও ইউক্রেনকে ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানাবে না।

দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেন ত্যাগের পরই দেশটির সঙ্গে আলোচনার কথা বলেছেন বাইডেন। কিন্তু মস্কোর তরফে তার এমন প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে এমন সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য চাপ দিচ্ছে না যখন ইউক্রেনীয়রা দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বার বার সাফল্য পাচ্ছে।

বাইডেন প্রশাসনের প্রভাবশালী এই কর্মকর্তা বলেন, পুতিন যদি সঠিক কাজটি করেন এবং ইউক্রেন ছেড়ে চলে যান তবে আলোচনা ছাড়াই যুদ্ধ শেষ হতে পারে। তার বাহিনী সেখানে ভালো অবস্থানে নেই।

এদিকে ইউক্রেন থেকে দখলকৃত ভূখণ্ডকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পশ্চিমাদের অস্বীকৃতির ফলে যুদ্ধ অবসানে শান্তি আলোচনা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। মস্কো বলছে, তারা আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। কিন্তু ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবি মেনে আলোচনায় বসবে না রাশিয়া।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে অবৈধভাবে নিজেদের অংশ বলে ঘোষণা করে রাশিয়া। যদিও অঞ্চলগুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তারা নিতে পারেনি। ৯ মাসের যুদ্ধে মস্কো যে পরিমাণ ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখল করেছিল পরবর্তীতে সেগুলোর অর্ধেকেরও বেশির নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেয় কিয়েভ। খেরসনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় রুশ বাহিনী। এরপর ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা শুরু করে মস্কো।

ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি শুক্রবার বলেছেন, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজের সময় এসে গেছে। কিন্তু এটি হতে হবে ইউক্রেনের স্বাধীনতার মাধ্যমে, আত্মসমর্পণের মাধ্যমে নয়।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
আইএ/ ০৩ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button