‘যে বুলেটে বঙ্গবন্ধুর কন্যারা এতিম হয়েছেন, সেই বুলেটে খালেদাও বিধবা হয়েছেন’
নোয়াখালী, ২৯ নভেম্বর – বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে যে বুলেট এতিম করেছে, সেই বুলেটই বেগম খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে। এটি বিশ্বাস ঘাতকতার পরিনতি। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। ইতিহাস কোনো স্বৈরাচারীর কোনো রক্ত চক্ষুকে পরোয়া করে না। ইতিহাসের আদালতের বিচারে কেউ রক্ষা পাবে না।’
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭৫ সালে চোখের পলকে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। খন্দকার মোশতাক পলাশীর মীর জাফর। পলাশীর সেনাপতি লতিফ আর বাংলাদেশের সেনাপতি জিয়াউর রহমান। জিয়া জড়িত না থাকলে আরেকটি খুনি চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার দুঃসাহস পেত বলে আমি মনে করি না। ইতিহাস বড়ই নির্মম। জেনারেল জিয়াউর রহমানও বাঁচতে পারেননি।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, একদিন তাদের দণ্ডও কার্যকর হবে ইনশাআল্লাহ।’
বিএনপির মসহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘আজকে অপপ্রচার করছেন ফখরুল সাহেবরা। তারা ষড়যন্ত্র করবে, কিন্তু আমরা উন্নয়নের কাজ করে এর জবাব দেব। আমরা দেশ ও মানুষের পাশে থাকবো।’
তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মুজিব কোট পরলেই মুজব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব কোট খুনি খন্দকার মোশতাকও পরেছেন। ৭৫ এর সেই বিশ্বাস ঘাতকরাও পরেছে। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। আমার বার্তা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, বঙ্গবন্ধুর কন্যার বার্তা। আওয়ামী লীগকে আরো ঐক্যবন্ধ, আরো সংঘঠিত, আরো সুশৃঙ্খল করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ এতো দিনেও স্বাধীন হতো কিনা সন্দেহ আছে। মহান আল্লাহ পাক বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে জন্ম দিয়েছিলেন। আর মুক্তির জন্য জন্ম দিয়েছেন শেখ হাসিনাকে। একজন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজন মুক্তির জন্য। আমাদের মুক্তির সংগ্রামের অসীম সাহসী কান্ডারী শেখ হাসিনা।’
নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম সেলিম, যুগ্ম-আহবায়ব শিহাব উদ্দিন শাহীন, শহীদুল্লাহ খাঁন সোহেল প্রমুখ।
সূত্র: রাইজিংবিডি
এম ইউ/২৯ নভেম্বর ২০২২