সচেতনতা

মা-বাবা হওয়ার আগে যে পাঁচটি প্রশ্ন চিকিৎসককে করতে হবে

সন্তান জন্ম দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যেক দম্পতির কাছে জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইদানীং বেশির ভাগ দম্পতিই দেরিতে সন্তান নেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার করে জেনে নেয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি সঠিক পরিকল্পনা করে নেয়া দরকার। একটি সুস্থ সবল সন্তানের জন্ম দিতে বিশেষ কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে।

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সঠিক সময় কোনটি?

কখন সন্তানধারণ করতে চান, তা দু’জনের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু কোনও রকম শারীরিক জটিলতা এড়াতে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নেয়াই শ্রেয়। দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করেও অনেকে সন্তানধারণ করতে পারেন না। কখন সঙ্গম করলে সন্তানধারণের সম্ভাবনা বেশি, তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেয়াই শ্রেয়।

গর্ভনিরোধক কখন বন্ধ করা উচিত?

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জন্যে প্রথমেই জন্মনিয়ন্ত্রণকারী পদ্ধতিগুলি বন্ধ করতে হবে। গর্ভনিরোধক ওষুধ গ্রহণ বন্ধ করে দিলে ধীরে ধীরে ঋতুস্রাব চক্রের পরিবর্তন হয়। বেশ অনিয়মিত হয়ে যায় ঋতুস্রাব। অনেকেই তাতে ঘাবড়ে যান। তাই সন্তানধারণের কত দিন আগে গর্ভনিরোধক বন্ধ করতে হবে তা চিকিৎসকের কাছে জেনে নেয়াই শ্রেয়।

শারীরিক অসুস্থতা কি গর্ভধারণে প্রভাব ফেলতে পারে?

পিসিওস, থাইরয়েড, যৌনরোগের মতো কিছু অসুখ গর্ভধারণে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে চিকিৎসকের সঙ্গে এই বিষয়ে ভাল করে আলোচনা করে নেয়া দরকার। প্রয়োজনে আপনাকে ওষুধ নিতে হতে পারে।

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে জিনগত পরীক্ষা কি বাঞ্ছনীয়?

পরিবারে কারও ডায়াবিটিস, থ্যালাসেমিয়া ইত্যাদি রোগের ইতিহাস থাকলে সন্তান জন্ম দেয়ার পূর্বে অবশ্যই হবু বাবা এবং মা, দু’জনেরই পরীক্ষা করে নেয়া উচিত। তবে এই বিষয়ে চিকিৎসকের মতামতই চূড়ান্ত।

ডায়েট কেমন হবে? ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেয়ার প্রয়োজন আছে কিনা?

খাওয়াদাওয়ার অনিয়মেও গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এই সময় স্বাস্থ্যকর ডায়েটের ভীষণ দরকার। অনেকের ওজন বেশি হওয়ার কারণে গর্ভধারণে সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর ডায়েট শুরু করতে হবে। শরীরে নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাব আছে কি না তা-ও যাচাই করে নিতে হবে।

আইএ

Back to top button