এশিয়া

চীনের জিনজিয়াংয়ে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

বেইজিং, ২৬ নভেম্বর – চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশব্যাপী কারোনা সংক্রমণের আরেকটি ঢেউ আঘাত হানায় কতৃপক্ষের জারি করা লকডাউনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে জনতা।

শুক্রবার চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা লকডাউন শেষ করুন বলে স্লোগান দিচ্ছে। রয়টার্স নিশ্চিত করেছে, ফুটেজটি জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। উরুমকির একটি প্লাজায় কিছু লোকজন চীনের জাতীয় সঙ্গীত গাইছে, অন্যরা লকডাউন থেকে মুক্তি পেতে চাই বলে স্লোগান দিচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে উরুমকিতে একটি বহুতল ভবনে আগুন লেগে ১০ জন মারা যাওয়ার পরে বিক্ষোভটি শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিল্ডিংয়ের বাসিন্দারা ভবনের নীচে যেতে সক্ষম হয়েছিল, কিন্তু লকডাউনের ফলে ভবনটি প্রবেশদ্বার তালাবদ্ধ থাকায় বাসিন্দারা সময়মতো বের হতে পারেনি। যদিও উরুমকি কর্মকর্তারা এই অভিযোগটি অস্বীকার করেছে। তবে তারা আরও তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে।

চীনের ওয়েইবো প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীরা এই ঘটনাটিকে একটি ট্র্যাজেডি হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং এই ধরনের ঘটনা আবারও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ একটি কোভিড কোয়ারেন্টাইন বাসের মারাত্মক দুর্ঘটনার সাথে তুলনা করেছেন, যেটি গত সেপ্টেম্বরে ঘটেছিলো।

চীন বিস্তীর্ণ জিনজিয়াং অঞ্চল দেশটির দীর্ঘতম লকডাউন করা এলাকা গুলোর একটি। তার মধ্যে উরুমকির ৪০ লাখ বাসিন্দাদের ১০০ দিনের জন্য তাদের বাড়িতে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।

এদিকে মহামারির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত টানা তৃতীয় দিনের মত রেকর্ড সংক্রমণ ধরা পড়েছে দেশটিতে। শনিবার চীনের ন্যাশনাল হেলথ ব্যুরো প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৫০৪ জন। এর মধ্যে ২৭ হাজারের বেশি রোগীর কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। গত দুইবছরে এই সংক্রমণ রেকর্ড ভেঙেছে। কোভিডের প্রথম দিকে চীনে দৈনিক রেকর্ড সংক্রমণ ছিল ২৯ হাজার ৩৯০টি।

চীনের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, দেশটি করোনভাইরাস উত্থানের পর থেকে সবচেয়ে জটিল এবং মারাত্মক বিরোধী মহামারী পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। তাই করোনা সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। সংক্রমণ ঠেকাতে বেইজিংয়ে আংশিক লকডাউন, গণ কোভিড পরীক্ষা ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৬ নভেম্বর ২০২২

Back to top button