এশিয়া

ফের করোনা সংক্রমণের রেকর্ড প্রতিদিনই ভাঙছে চীনে

বেইজিং, ২৫ নভেম্বর – করোনা সংক্রমণের রেকর্ড প্রতিদিনই ভাঙছে চীনে। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ডের খবর পাওয়া গেলো। গত মধ্য এপ্রিলে যে পরিমাণ দৈনিক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। একই সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যিক হাব সাংহাইয়ের আড়াই লাখ বাসিন্দা লকডাউনের আওতায় রয়েছে গত দুমাস ধরে। বেইজিংয়ে বন্ধ রয়েছে স্কুল।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, ৩২ হাজার ৬৯৫ জন। যাদের মধ্যে উপসর্গ ধরা পড়ে ৩ হাজার ৪১ জনের। অপরদিকে, উপসর্গহীন রোগী ২৯ হাজার ৬৫৪ জন। এর আগের দিন দেশটিতে করোনা ধরা পড়ে ৩১ হাজার ৪শ ৪৪ জনের।

করোনা সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় দেশটির বৃহত্তর শহর গুয়াংজু লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। অর্থনৈতিক উৎপাদন ও বাণিজ্যিক দিক থেকে দেশটির চতুর্থ বড় শহর গুয়াংজু গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী। দক্ষিণ-পশ্চিমের চংকিংসহ চেংদু, জিনান, লংঝও, জিয়ান ও উহানেও সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া শিজিয়াজুয়াংয়ে আগের দিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার করোনা শনাক্তের হার চারগুণ বেড়ে গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ১৯৭ জন।

বেইজিং কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানীতে বৃহস্পতিবার ৪২৪ জনের করোনা উপসর্গ ধরা পড়ে এবং উপসর্গহীন রোগী শনাক্ত হয় ১ হাজার ৪৩৬ জন। একদিন আগে সেখানে ৫০৯ জনের করোনা উপসর্গ ধরা পড়ে এবং উপসর্গহীন রোগী শনাক্ত হয় ১ হাজার ১৩৯ জন।

বাণিজ্যিক হাব সাংহাইয়ের স্থানীয় স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার এই প্রদেশে যতজন করোনা রোগী শনাক্ত হয় তাদের মধ্যে ৯ জনের উপসর্গ ধরা পড়ে এবং উপসর্গহীন ৭৭ জন। অথচ একদিন আগে সেখানে ৯ জনের করোনা উপসর্গ দেখা দেয় এবং ৫৮ জন ছিল উপসর্গহীন।

গুয়াংজুতে ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের বসবাস। সেখানে বৃহস্পতিবার করোনা উপসর্গ ধরা পড়ে ২৫৭ জনের এবং উপসর্গহীন রোগী শনাক্ত হয় ৭ হাজার ২৬৭ জন। এর আগের দিন যেখানে করোনা উপসর্গ ধরা পড়ে ৪২৮ জনের এবং উপসর্গহীন রোগী শনাক্ত হয় ৭ হাজার ১৯২ জন।

এ ছাড়া চংকিংয়ে ২৫৮ জনের নতুন করে করোনা উপসর্গ ধরা পড়ে এবং উপসর্গহীন রোগী শনাক্ত হয় ৬ হাজার ২৪২ জন। আগের দিন যেখানে ছিল উপসর্গসহ রোগী ৪০৯ জন এবং উপসর্গহীন ৭ হাজার ৪৩৭ জন।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখান থেকেই বিশ্বে ছড়িয়েছে এই মারণঘাতি ভাইরাস। যদিও করোনার প্রকৃত উৎস কোথায় তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।

২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। কয়েক বছরে করোনা বারবার ধরন বদলে আবারও সংক্রমণ ঘটিয়েছে। যদিও টিকা আসার পর করোনা এখন অনেকটাই স্তিমিত। তবে চীনে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেশটির অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলছে।

সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/২৫ নভেম্বর ২০২২

Back to top button