জানা-অজানা

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী স্কুল শিক্ষার্থী মারা গেছেন

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রাথমিক শিক্ষার্থী প্রিসিলা সিতেয়েনি মারা গেছেন। কেনিয়ায় এ নারীর বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। তার নাতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, নিজ বাড়িতে তার শান্তিপূর্ণ মৃত্যু হয়েছে।

নাতি স্যামি চেপসির জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বুধবার প্রিসিলা বুকের ব্যাথাজনিত জটিলতায়
মারা যান। তবে তিনি সুস্থ ছিলেন এবং মৃত্যুর তিন দিন আগ পর্যন্ত ক্লাস করেছেন। বুকের ব্যথার কারণে শেষ কদিন স্কুল যেতে পারেননি।

নারীশিক্ষায় অবদান রাখা প্রিসিলার অর্জনের অনুপ্রেণায় ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মিত হয় এবং তা ইউনেস্কোর প্রশংসা পায়। স্থানীয়রা ভালোবেসে তাকে ‘গগো’ নামে ডাকে। স্থানীয় কালেঞ্জিন ভাষায় যার অর্থ ‘দাদি’।

চেপসি বলেন, ‘আমরা তার শতায়ু জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন।’

ইউনেসকোর মতে, প্রিসিলা সিতেয়েনি ৯৪ বছর বয়সে কেনিয়ার রিফ্ট ভ্যালিতে গ্রামের স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে রাজি করিয়ে স্কুলে ভর্তি হন। এ ঘটনায় পরবর্তী সময়ে তিনি নিজ সম্প্রদায় ও বাইরের দুনিয়ায় রোল মডেল হিসেবে প্রশংসা কুড়ান।

জাতিসংঘের সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিসিলা বলেন, কেনিয়ার অল্পবয়সী মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর সামাজিক লোকলজ্জা বা কলঙ্কের ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। আমি চাই তারা স্কুলে ফিরে যেতে উদ্বুদ্ধ হোক। শিক্ষা আপনার ভবিষ্যৎ। শিক্ষা চিরকাল আপনার মাথায় থাকে এবং একবার এটি পেলে আপনি তা হারাবেন না।

তার অনুপ্রেরণায় ‘গোগো’ নামের ওই ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মিত হলে গত বছর প্রথমবারের মতো তিনি বিমানে করে ফ্রান্সে গিয়ে ফার্স্ট লেডি ব্রিজিৎ ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সিনেমাটির কো-রাইটার প্যাট্রিক পেসিস বৃহস্পতিবার তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক টুইটে বলেন, নারীশিক্ষা বিষয়ে প্রিসিলার বার্তা অমর হয়ে থাকবে।

আইএ/ ১৯ নভেম্বর ২০২২

Back to top button