পশ্চিমবঙ্গ

দিলীপ ঘোষকে দুপুরে বাড়িতে খেতে ডাকলেন বৈশাখী

কলকাতা, ২৩ নভেম্বর- বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানোয় রবিবার বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে যাননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। দলের সঙ্গে এই অভিমান পর্বের মধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ফোনে কথা হল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই ফোনালাপেই ‘দিলীপ দা’ দুপুরে বাড়িতে খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করলেন বৈশাখী।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “দিলীপদা অনেকবার ফোন করেও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে আমি শুনেছি। তাই আমি নিজেই ফোন করেছিলাম।” বৈশাখী আরও বলেন, “একটা বিভাজনের চেষ্টা দলের ভিতরেই কেউ কেউ করছিলেন। এবং তার দায়টা দিলীপদার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আমি ফোন করতেই সে চেষ্টা ব্যর্থ হল। আগামী দিনে দিলীপদার নের্তৃত্বেই আমরা দলের হয়ে কাজ করব।”

রবিবার সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বিজেপি বিজয়া সম্মিলনের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ ঘিরেই বিজেপির একাংশের নেতাদের সঙ্গে নতুন করে ‘মনকষাকষি’ শুরু হয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপির সাংস্কৃতিক সেল যে অনুষ্ঠান করছে, সেখানে শোভনকে ফোন করে নিমন্ত্রণ করা হলেও বৈশাখীকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে দাবি করেছিলেন শোভন, বৈশাখী দু’জনেই

শোভন বলেছেন, ‘‘আমার কাছে তো কোনও ফোন আসেনি। ফোন এসেছিল বৈশাখীর কাছেই। বৈশাখী আমাকে জানান যে, আমাকে রবিবারের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’’ শোভনের কথায়, ‘‘আমি অবাক হয়ে গিয়েছি! শুক্রবার রাতেও বিজেপি নেতৃত্ব যাঁর সঙ্গে বৈঠক করে গেলেন, শনিবার তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হল না? কেউ কেউ সম্ভবত আমাদের মধ্যে বিভাজন ঘটানোর উদ্দেশ্য নিয়েই এগুলো করছেন। কিন্তু এটা আমি মেনে নেব না। আমি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যাচ্ছি না।’’

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ ধরনের ব্যবহার ব্যথিত করেছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি দাবি করেন, সবাইকে ফোন করা হয়েছে। তিনি নিজে ফোন করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর, কলকাতায় হোটেলে গিয়ে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন শোভন-বৈশাখী। সেই বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন, আগামী দিনে তাঁরা সক্রিয় হবেন বিজেপিতে। গত শুক্রবার শোভনের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে যান রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন এবং রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। শোভনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে কীভাবে ব্যবহার করবে বিজেপি তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয় শুক্রবারের বৈঠকে। গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক চললেও, পরের দিনই ঘটে ছন্দপতন!! তবে দিলীপ-বৈশাখীর এই ফোনালাপে খানিকটা দুপক্ষের সম্পর্কের উন্নতি হল বলেই মত রাজনৈতিক মহল।

সূত্র: কলকাতা২৪x৭

আর/০৮:১৪/২৩ নভেম্বর

Back to top button