পশ্চিমবঙ্গ

১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে এবার হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারী, দায়ের জনস্বার্থ মামলা

কলকাতা, ১৫ নভেম্বর – পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে সরব বিরোধী দলনেতা। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করলেন জনস্বার্থ মামলা (PIL)। অভিযোগ, তথ্যে কারচুপি করা হচ্ছে, টেন্ডার না হওয়া তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। এলাকার জনসংখ্যার থেকে বেশি জব কার্ড ধারক রয়েছেন বলেও আদালতে জানান তিনি। এই মামলায় সিএজি (CAG) দিয়ে অডিটের দাবির পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে।

এর আগেও বহুবার এ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কাজে দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। এ নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও লিখেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এবার হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। সূত্রের খবর, এ সপ্তাহেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই মামলা উঠতে পারে।

১০০ দিনের কাজে বিজেপি যতই দুর্নীতির অভিযোগ তুলুক না কেন রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর সে তত্ত্ব মানতে নারাজ। বরং বারবারই তারা দাবি করেছে, সমস্ত নিয়ম মেনে কাজ হয়েছে। কোথাও দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই নেই। তারপরও কেন্দ্র টাকা বাকি রেখেছে। ১০০ দিনের বকেয়া টাকা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

তবে সম্প্রতি মেদিনীপুরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার অডিট রিপোর্ট জমা দিলেই ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা দিয়ে দেবে কেন্দ্র।” তিনি জানান, অন্যান্য রাজ্যগুলিতে এই কাজের ক্ষেত্রে যা যা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়, বাংলাতেও আলাদা কিছু হবে না। তবে বাংলার সরকারকে বকেয়া টাকা পেতে অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়া আবশ্যক বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এর আগে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে। সে সময়ই আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে একটি চিঠিও পান গিরিরাজ। সেখানে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেছিলেন, এত বড় প্রকল্প, কিছু ভুল ভ্রান্তি থাকতেই পারে। তবে ‘কিছু ভুলভ্রান্তি’কে সামনে আনতে এবার আদালতের দরজায় বিরোধী দলনেতা। যদিও বারবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “১০০ দিনের কাজে পর পর পাঁচ বছর বাংলা প্রথম বলে হিংসা করে ওরা। তাই টাকা দিচ্ছে না। দেড় কোটি মানুষ টাকা পাচ্ছেন না।”

সূত্র: টিভি নাইন
আইএ/ ১৫ নভেম্বর ২০২২

Back to top button