জাতীয়

মির্জা ফখরুল প্রতিষ্ঠিত রাজাকারের ছেলে

ঢাকা, ০৮ নভেম্বর – বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে একজন প্রতিষ্ঠিত রাজাকারের ছেলে বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে ‘মায়ের কান্না’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বলেন, জিয়াউর রহমান যে দল প্রতিষ্ঠা করেছে, বাংলাদেশে সেই দলের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তাদের রাজনীতি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা যেমন জামাতের রাজনীতির বিরুদ্ধে, তেমনি জিয়ার রাজনীতির দলের বিরুদ্ধে।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়ে বিএনপি আর জামাতের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। জামাত যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে, বিএনপিও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দল। আজ যারা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত রাজাকারের ছেলে। তার বাবা চোখা মিয়া রাজাকার, যার নাম অনেক আগে থেকেই রাজাকারের তালিকায় রয়েছে। বিএনপির আরও যারা নেতৃত্বে আছেন, তাদেরও বংশ পরিচয় খুঁজে দেখবেন, তারাও রাজাকার ভক্ত।

সাবেক এ বিচারপতি আরও বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে। এই দলের সদস্যরা সবসময় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, কখনও প্রকাশ্যে, কখনও গোপনে। জিয়ার পরিকল্পনা ছিল দেশকে আবার পাকিস্তানে পরিণত করা। এভাবেই সে প্রথমে বঙ্গবন্ধু, পরে জাতীয় চার নেতা এবং ৭৭ সালে জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের অজুহাতে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের বাড়ী থেকে ডেকে আনে বিচারের প্রহসনের নামে। তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ সেটাও তাদের বলা হয়নি, ফাঁসি দেয়ার পর বিশ্বব্যাপী লাশ আত্মীয়স্বজনদের কাছে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। লাশগুলো নদীতে ভাসিয়েছে না আগুনে পুড়িয়েছে তাও কেউ জানে না। কবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাও কেউ জানে না। এই নিকৃষ্ট ঠাণ্ডা মাথার খুনি জিয়াউর রহমানে মরণোত্তর বিচার আমাদের সকলের দাবি। আমরা চাই অনতিবিলম্বে তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ বীরবিক্রম, মাহাবুব উদ্দীন আহমদ বীরবিক্রম, ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার খান, শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীরউত্তমের মেয়ে মাহজাবিন খালেদ প্রমুখ।

সূত্র: বাংলানিউজ
এম ইউ/০৮ নভেম্বর ২০২২

Back to top button