জাতীয়

জেলে জাতীয় ৪ নেতা হত্যায় জিয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, ০৪ নভেম্বর – কেন্দ্রীয় কারাগারের মতো একটি সুরক্ষিত জায়গায় জাতীয় ৪ নেতা হত্যায় খন্দকার মোশতাক এবং জিয়া জড়িত ছিলো। জিয়াউর রহমান খুনিদের বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন অনেক বড় কথা বলেন। তিনিও খুনিদের নিয়ে রাজনৈতিক দল করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে জেল হত্যা দিবসের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আরও বক্তব্য রাখেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, বেনজির আহমদ, মোছলেম উদ্দীন, নাহিদ ইজহার খান, তানভীর শাকিল, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, মসিউর রহমান প্রমুখ। তবে এতে বিএনপির কোনও সংসদ সদস্য অংশ নেননি। তারা এ সময় সংসদেও অনুপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা ‘৭৫ এর ১৫ আগষ্ট ও ৩ নভেম্বর নেপথ্যের কুশীলবদের খোঁজে বের করতে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানান। এর মাধ্যমে কুশীলবদের বের করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তারা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলো। তিনি বলেন, জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার বিজয়কে নস্যাৎ করার চেষ্টা মেতেছিলো তারা। খুনি মোশতাক ও জিয়া একইভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলেন। ‘১৯৭৫ সালে ক্ষমতার পালাবদলের পর জিয়াউর রহমান সেনা বাহিনীতে থাকা মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছেন। জাতির পিতার হত্যাকারীদের সাজা দেওয়ার বদলে পুরস্কৃত করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার নির্যাতন হত্যা করেছেন।

সংসদনেতা শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে না হয়, সেজন্য দায়মুক্তি দিয়ে আইন করা হয়। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জেলহত্যার বিচার করেছে। বিচার কাজ চলার সময় ২০০১ এ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এই মামলার একজন আসামিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়ে বিদেশে পোস্টিং দেওয়া হয়। তারা যে হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের কর্মকাণ্ডেই তা প্রমাণ হয়। জিয়া যেমন খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন, তেমনই এইচ এম এরশাদও একই কাজ করেছেন বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুককে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন এরশাদ। অথচ ফারুক অবৈধ অস্ত্রসহ এনএসআইয়ের হাতে ধরা পড়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর সরকার গঠন করে অনেক বাধা অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছে। রায় কার্যকর করেছে। কিছু খুনি এখনও বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পর আইনের শাসন ছিল না। বিচারের বাণী নির্ভৃতেই কেঁদেছে। আমি নিজেও বহুবার হাইকোর্টে গেছি, কথা বলেছি। বিচারের বাণীতো এখানে নির্ভৃতে কাঁদে। আমার বাবা, মা, ভাইয়ের হত্যার বিচার পাবো না, এই দেশে এমন আইন ছিল। ক্ষমতায় আসায় এ হত্যার বিচার সম্ভব হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে অভিশাপ মুক্ত না করলে দেশের অর্থনীতির উন্নতি করা সম্ভব হতো না বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে অভিশাপ মুক্ত করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৪ নভেম্বর ২০২২

Back to top button