ইউরোপ

ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে মার্কিন সেনারা

কিয়েভ, ০২ নভেম্বর – ইউক্রেনের মাটিতে প্রবেশ করেছে মার্কিন সেনার একটি দল, যেখানে তারা ন্যাটো জোটের পক্ষ থেকে পাঠানো অস্ত্র বিতরণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা এপি, টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসিসহ একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। তবে কতজন মার্কিন সেনা ইউক্রেনের প্রবেশ করেছে এবং কোথায় কাজ করছে এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বিস্তারিত কিছু জানাননি।
পেন্টাগনের ওই কর্মকর্তা জানান,ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাসের সামরিক অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গ্যারিক হারমোনের নেতৃত্বে মার্কিন সেনারা ইউক্রেনে কাজ করছে।

পেন্টাগনের কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, এইসব সেনা এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিদর্শনের কাজ শেষ করেছেন কিন্তু ইউক্রেনের কোন কোন এলাকায় তারা অস্ত্র বিতরণের কাজ পরিদর্শন করছে তা তিনি জানাননি। তিনি বলেন, একেবারে যুদ্ধক্ষেত্রের কাছাকাছি এলাকায় তারা অস্ত্র বিতরণ করার কার্যক্রম পরিদর্শন করছে না। যেসব এলাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে সেখানে পরিদর্শন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের সামরিক অভিযান শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটো যে সমস্ত অস্ত্রের চালান পাঠিয়েছে সেগুলো ইউক্রেনের অভ্যন্তরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতো মার্কিন সেনারা। কিন্তু রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর কয়েকদিন আগে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়। এখন নতুন করে আবার অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে তবে কত সেনা পাঠানো হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। তবে পেন্টাগনের কর্মকর্তা জানান, এই সংখ্যাটি খুব কম।

ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছে, তারা ইউক্রেন সরকারকে মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য কর্মী বরাদ্দ করবে, যদিও এটি উল্লেখ করেনি যে এই কর্মীদের সামরিক পদ থেকে নেওয়া হবে।

এরআগে একটি গোয়েন্দা সূত্র এপ্রিল মাসে সিএনএনকে বলেছিল, এই অস্ত্রগুলি দেশে প্রবেশ করার পরে ‘একটি বড় কালো গহ্বরে’ অদৃশ্য হয়ে যায়। বেনামী এই পেন্টাগন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, কিয়েভ “স্বচ্ছ” হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত পরিদর্শকদের সাথে সহযোগিতা করেছে।

সোমবারের ঘোষণাটি ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মতো চিহ্নিত করেছে, ওয়াশিংটন ইউক্রেনে ইউনিফর্মধারী সৈন্যদের উপস্থিতি স্বীকার করেছে।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্রদের সংঘাতে জড়িত হওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। এর আগেও তিনি বলেছিলেন, ক্রেমলিন নিজেকে ইউক্রেনে ‘পুরো পশ্চিমা সামরিক মেশিন’-এর সাথে লড়াই করছে বলে মনে করে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/০২ নভেম্বর ২০২২

Back to top button