পশ্চিমবঙ্গ

আন্দোলন করলেই কি চাকরি দিতে হবে? চাকরি তো হবে যোগ্যতা বা মেধার ভিত্তিতে: ব্রাত্য

কলকাতা, ০১ নভেম্বর – আন্দোলন করলে সবাইকে চাকরি দিতে হবে, এটা হতে পারে না।

পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ পাশ করে চাকরির আশায় রাস্তায় নেমে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সোমবার বললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, “আন্দোলনের সঙ্গে চাকরির সম্পর্ক কী? চাকরি তো যোগ্যতা বা মেধার ভিত্তিতে হবে।’’

চাকরিপ্রার্থীদের মতে, অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন বলেই তো যোগ্যরা আজ রাস্তায় বসে রয়েছেন। গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি-র চাকরিপ্রার্থী শুভেন্দু দফাদার বলেন, ‘‘আমরা যে যোগ্য, তা বাগ কমিটির রিপোর্ট বলেছে। আদালতও বলেছে। অযোগ্যদের চাকরি বাতিলেরও নির্দেশ দিয়েছে। কী ভাবে আমাদের অযোগ্য তকমা দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী?’’

ব্রাত্যর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘কলেজে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নেট পাশ আবশ্যিক। কিন্তু যাঁরা নেট পাশ করছেন, তাঁরা কি সবাই চাকরি পাচ্ছেন? জয়েন্টে যখন র‌্যাঙ্ক বেরোয়, সবাই কি ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সুযোগ পান?’’ ব্রাত্যর মতে, তাঁদের সরকার চাকরি দিতে চায়। আদালত যে ভাবে নিয়োগ করতে বলবে, সে ভাবে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু নতুন নিয়োগও তো করতে হবে।

রাজ্যে নতুন নিয়োগ পদ্ধতি শুরু হয়েছে। সেই নিয়োগ পদ্ধতি ব্যাহত হলে সমাজে একটা ভুল বার্তা যাবে বলেও জানিয়েছেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘নতুন নিয়োগের সময় এসেছে। এই ভাবে যদি যে কোনও পন্থায় নিয়োগ ব্যাহত হতে থাকে, তা হলে সমাজে একটা নেগেটিভিটির জন্ম নেয়।’’ ব্রাত্যর দাবি, ‘‘অনেক মামলা ন্যায্য আবার অনেক মামলা ন্যায্যও নয়।’’

অন্য দিনের মতো এ দিনও চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে অনেকেই সহমর্মিতা দেখাতে আসেন। হেল্থ কেয়ার সেক্টরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্যোগে গান্ধী মূর্তি এবং মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে সকল চাকরিপ্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ন্যাশনাল স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের রাজ্য সম্পাদক শুভদীপ ভৌমিক বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য হবু শিক্ষিকাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরন করা হয়। ধর্নামঞ্চে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাড ব্যাঙ্কও করা হয়েছে।’’ গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীরা এ দিন মান্না দের গাওয়া ‘আমার একটু জায়গা দাও, মায়ের মন্দিরে বসি’ গানের প্যারোডিও করেন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন
আইএ/ ০১ নভেম্বর ২০২২

Back to top button