অক্টোবরেও গার্মেন্টস রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে
চট্টগ্রাম, ০১ নভেম্বর – অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির পরিমাণ ১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের এই সময়কালের তুলনায় রপ্তানি কমেছে ১৯ শতাংশ, সে বছর ছিলো ২ দশমিক বিলিয়ন ডলার। আগের মাস সেপ্টেম্বরেও এই খাত নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছিলো। অ্যাপারেল রিসোর্সেস ডটকম
গার্মেন্টস সেক্টরের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ কারখানায় উৎপাদন অর্ধেকের কমে নেমে এসেছে। কিছুদিন আগে গত তিন চার মাসের রপ্তানি চিত্র দেখে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছিলেন, নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির এই ধারা সহজে বন্ধ হবে না। আরো কয়েক মাস প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে হবে রপ্তানিকারকদের।
উদ্যোক্তারা বলছেন, শুধু বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির কারণে এমনটা হয়নি। করোনার অভিঘাত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সমস্যাই প্রধান।
গার্মেন্টসের সূতিকাগার চট্টগ্রামের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এই অঞ্চলের কারখানাগুলোতে রপ্তানির অর্ডার ৪০ শতাংশ কমে গেছে। ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত কোন কার্যাদেশ না থাকায় বেতন পরিশোধ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে কারখানা মালিকদের। এর মধ্যেও যতোটা কাজের অর্ডার এসেছে, তা ঠিক সময়ে সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় গার্মেন্টস মালিকরা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে চলছে গ্যাস আর বিদ্যুতের সংকট।
এ অবস্থা শুধু আরএমজি সেক্টর নয়, এর ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ নিটিং শিল্পেও পড়েছে।
নিটিং কারখানাগুলোয় কাজের আদেশ কমেছে। তাদের উৎপাদন কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। এর ওপর গ্যাস না থাকা ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে লোকসানে পড়েছে নিটিংশিল্প। সংকটের মুখে গত ছয় মাসে ৩৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার হয়েছেন কয়েকশ শ্রমিক। কারখানার মেশিনপত্র বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন অনেক মালিক।
সূত্র: আমাদের সময়
আইএ/ ০১ নভেম্বর ২০২২