জাতীয়

মন্ত্রিপরিষদ সচিব-মুখ্য সচিবের সরকারি বাড়িতে সুইমিংপুল থাকবে না

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর – মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের জন্য নির্মাণাধীন বাড়িতে সুইমিংপুল করার বিষয়টি নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আলাদা সুইমিংপুল না হলেও সবার জন্য কমন কোনো সুইমিংপুল নির্মাণ করা যায় কি না সে বিষয়ে ভেবে দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সেখানে যাদের বাড়ি বরাদ্দ আছে, তারা ও তাদের সন্তানরা ওখানে সাঁতার কাটার সুযোগ পাবেন।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের জন্য রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাশাপাশি নির্মিত হবে দুটি বাসভবন। প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুসারে প্রতিটি ভবন হবে তিন তলা। এর মধ্যে প্রতিটি বাসভবনে দুই সেট সুইমিংপুল হবে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সরকার দেশবাসীকে কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শ দিচ্ছে। এমন সময়ে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তার জন্য ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাড়িটা যাতে এয়ারমার্কড (নির্দিষ্ট করে দেওয়া) করে দেওয়া হয়। গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি) বক্তব্য হলো আস্তে আস্তে মিন্টো রোডের বাড়িগুলো ডিমোলিশড (ধ্বংস) করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এগুলো খুবই পুরোনো। এগুলো মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাড়ির বিষয় না, সব বাড়িগুলো আস্তে আস্তে ভেঙে ফেলা হবে।’

সংসদের উপনেতার বাড়ি এরমধ্যে ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারণ এগুলো সেই ১৯৪০-১৯৪৫ সালের বাড়ি। বাড়িগুলো একটা একটা করে সব নতুন করে তৈরি করা হবে। এটা নতুন বাড়ি করা বলার চেয়ে প্রধানত যে জায়গাটায় জোর দেওয়া উচিত ছিল, যেহেতু মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাসায় অফিস আছে, সেহেতু তাদের বাসাটা যাতে এয়ারমার্কড করে দেওয়া হয়। একটা একটা করে সব বাড়িই নতুন করে নির্মাণ করা হবে। আর এটি ছিল একটি প্রাথমিক বিষয়, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু আসেনি।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আর কোনো ধরনের সুইমিংপুলের কথা পরিষ্কার করে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি সুইমিংপুল করতেই হয়, তাহলে ওখানে কয়েকশ বাড়িঘর আছে, তাদের জন্য একটি সুইমিংপুল করা যায় কি না। কারণ সুইমিংপুল তো রক্ষণাবেক্ষণ করা খুবই কঠিন। বাড়িতে বাড়িতে সুইমিংপুল করে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে না। ওখানে যে ৫০০-৬০০ কর্মকর্তা আছেন, তাদের সবার জন্য কমন কোনো সুইমিংপুল নির্মাণ করা যায় কি না। সেক্ষেত্রে সেখানে যাদের অ্যালটমেন্ট (বাড়ি বরাদ্দ) আছে, তারা ও তাদের সন্তানরা ওখানে সাঁতার কাটার সুযোগ পাবেন।’

তিনি বলেন, ‘আর এটা আলোচনায় আসছে তিন-চার বছর আগে। আর তা নির্দিষ্ট করে কারও বাড়ি করার জন্য না। এমনকি ইস্কাটন গার্ডেন অফিসার্স কোয়ার্টারে যে ছয়টি বড় ভবন আছে, এগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো সেই ১৯৫০ সালের সময়ের বাড়ি। সবগুলোই আসলে নতুন করে নির্মাণ করতে হবে।’

সূত্র: রাইজিংবিডি
এম ইউ/৩১ অক্টোবর ২০২২

Back to top button