দক্ষিণ আমেরিকা

বলসোনারোর পতন, লুলার প্রত্যাবর্তন

ব্রাসিলিয়া, ৩১ অক্টোবর – ‘ব্রাজিলের মানুষ ভালো থাকতে চায়, ভালো খেতে চায়, চাকরি করতে চায়। তারা সুযোগ পেতে চায় শিক্ষার। বন্দুকের পরিবর্তে চায় বই। আমরা শান্তি, গণতন্ত্র এবং মর্যাদা চাই। আমরা এখন এক মানুষ।’

তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় কথাগুলো বলছিলেন লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। কারণ তিনিই হতে যাচ্ছেন লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশটির প্রেসিডেন্ট। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকে হারিয়েছেন লুলা। তাদের মাঝে লড়াইটা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি।

বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, শেষ ধাপের ভোট গণনা শেষে লুলা দা সিলভা পেয়েছেন ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। আর ৪৯ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বলসোনারো।

লুলা দা সিলভা বামপন্থী রাজনীতিবদ আর বলসোনারো কট্টর ডানপন্থী।

এই জয়ে বিশ্ব নেতারা লুলাকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ টুইটারে অভিনন্দন জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লুলাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হয়েছে।

এর আগে ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন লুলা। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তারপরও নির্বাচনে জিতে রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ছিল তার।

অন্যদিকে ২০১৯ সালে কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও লাগামহীন কথাবার্তার জন্য সমালোচিত ছিলেন বলসোনারো। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর তিনি ব্রাজিলকে রক্ষায় তেমন কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেননি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মহামারির সময় অব্যবস্থাপনার অভিযোগও রয়েছে।

তবে আমাজন বন উজাড় করার কথা বলে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন বলসোনারো। সব মিলিয়ে বলসোনারোর জনপ্রিয়তা ছিল তলানিতে।

সূত্র: জাগোনিউজ
আইএ/ ৩১ অক্টোবর ২০২২

Back to top button