বরিশালের সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
বরিশাল, ২৫ অক্টোবর – ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাংয়ের’ প্রভাব কেটে গেলেও বরিশালের সকল নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে।
মঙ্গলবার ভোলার তজুমুদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলায় মেঘনা এবং সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার দেড় মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সিত্রাংয়ের প্রভাব, অমাবশ্যার জোয়ার এবং অতিবৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড। আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে বলে তারা জানিয়েছেন।
বিকেলে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগাফি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলায় মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি দুপুর ২টায় ১.৩৭ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই সময়ে দৌলতখান উপজেলায় এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ১.১৯ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় বিকেল ৪টায় তেতুলিয়া নদীর পানি ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেল ৪টায় কীর্তনখোলা নদীর পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। বিষখালী নদীর বরগুনা পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। একই নদীর পাথরঘাটা পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। বলেশ্বর নদীর পিরোজপুর পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। কঁচা নদীর উমেদপুর পয়েন্টে দুপুরে পানি প্রবাহিত হয় ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। আমতলীর বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানিও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে বিস্তির্ণ নিম্নাঞ্চল, ফসলী জমি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব কিছু। এতে দুর্ভোগে পড়েছে জনসাধারণ।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাব, অমাবশ্যার জোয়ার এবং ভারী বর্ষণের কারণে নদীর পানি বেড়েছে। এতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানির চাপে সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদে ৩টি, বাকেরগঞ্জের নলুয়ায় ১টি এবং উজিরপুরের গুঠিয়ায় ২টি বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ৬শ’ মিটারের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে জানমালের উল্লেখযোগ্য তেমন কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার। এ বিষয়ে সব উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত পরিসংখ্যান চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সূত্র: বিডি-প্রতিদিন
এম ইউ/২৫ অক্টোবর ২০২২