সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে ফেরত আনা হলো পর্যটকদের
কক্সবাজার, ২৩ অক্টোবর – ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকবাহী জাহাজসহ নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তাই দ্বীপে বেড়াতে এসে আগে থেকে অবস্থান করা পর্যটকদের বিশেষ ব্যবস্থায় কক্সবাজারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পর্যটকদের নিয়ে এমভি কর্ণফুলী জাহাজ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেয়।
এর আগে জাহাজটি রবিবার সকালে ১২০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, প্রায় সাড়ে ৩০০ পর্যটক সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে বিকেলে জাহাজে করে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে স্থানীয় লোকজনের ক্ষতি রোধে সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল ভবনগুলো খোলা রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দ্বীপের মানুষের জন্য শুকনা খাবার, পানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকে দিনভর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে জাহাজ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। আগে দ্বীপে ঘুরতে এসে কিছু পর্যটক দ্বীপে থেকে যায়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাদের বেশির ভাগই আজ কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি কর্ণফুলীর পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানিয়েছেন, রবিবার ১২০ জন পর্যটক নিয়ে জাহাজটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পৌঁছায়। বিকেল সাড়ে ৩টায় সেখানে থেকে যাওয়া পর্যটকসহ সাড়ে ৩০০ যাত্রী নিয়ে জাহাজ কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়।
আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ
আইএ/ ২৩ অক্টোবর ২০২২