খুলনা, ২১ অক্টোবর – খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামীকাল শনিবার (২২ অক্টোবর)। নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে দলটির হাজারো নেতাকর্মী খুলনায় এসেছেন। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাতে দলীয় কার্যালয়ে বালিশ-কাঁথা নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন হাজারো কর্মী-সমর্থক। তাদের বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে দলীয় কার্যালয় এলাকা।
খুলনা খানজাহান আলী থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, সরকারের দীর্ঘদিনের জুলুম-নির্যাতনে প্রতিবাদে যুব সমাজসহ সারাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সারারাত দলীয় কার্যালয়ের সামনেই আমরা থাকব।
কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আলামিন খান জানান, বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। পথে তাদের ওপর হামলা চালালে অনেকে আহত হন। অনেক পথ ঘুরে তারা খুলনায় পৌঁছেছেন।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে আসা মাসুদ রানা বলেন, অনেক কষ্টে আমরা খুলনায় এসেছি। আওয়ামী লীগ যদি এতই গণতান্ত্রিক দল হয়, তাহলে পথে পথে বাধা কেন দিচ্ছে।
একই স্থানে মাদারীপুরের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খান বলেন, দুই দিন গণপরিবহন বন্ধ, হামলা, আটক, মারধরসহ ক্ষমতাসীনদের আগ্রাসী মনোভাব বলে দেয় বিএনপির পক্ষে সাধারণ মানুষের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগ ভীত হয়ে পড়েছে। কিন্তু কোনো বাধাতেই আমাদের কর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, বাস-লঞ্চ বন্ধের পর পথে পথে নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে অসংখ্যা মানুষ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। কাল সমাবেশস্থলসহ খুলনা মহানগরী জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনা মহানগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। পরিবহন ধর্মঘট, পথে পথে তল্লাশি, হামলাসহ নানা বাধা ঠেলে খুলনার দিকে আসছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে সমাবেশে আসতে পথে পথে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির নেতাদের।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ২১ অক্টোবর ২০২২