পিরোজপুর

জিয়ার নামে উপজেলার নাম, আইডি-সার্টিফিকেট ফিরিয়ে দিলেন মুক্তিযোদ্ধারা

পিরোজপুর, ১৯ অক্টোবর – পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তৈরি করা স্মার্ট আইডি কার্ড ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট গ্রহণ করেননি স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ডে উপজেলার নাম ইন্দুরকানীর স্থানে জিয়ানগর লেখা থাকার কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে তা ফেরত দেন তারা। পরে সার্টিফিকেট ও কার্ডগুলো সংশোধনের জন্য গতকাল মঙ্গলবার ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. মোশারফ হোসেন জানান, সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় বাংলাদেশের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারা অনেক খুশি হয়েছিলো। কিন্তু ইন্দুরকানী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রাণালয় থেকে তাদের জন্য ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ডে ইন্দুরকানীর স্থানে জিয়ানগর লেখা আসায় তারা অনেক কষ্ট পেয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ইন্দুরাকানী উপজেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ১১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জীবিত ৬৮ জনের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড। মৃত ৪৭ জনের ডিজিটাল সার্টিফিকেটে উপজেলা ও থানার নামে ইন্দুরকানীর স্থানে জিয়ানগর লেখা থাকার করণে তা কেউ তা গ্রহণ করনেনি।

মোশারফ হোসেন জানান, এ ঘটনার কয়েকমাস আগে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রাণালয় থেকে পাঠানো তালিকায় উপজেলার নাম জিয়ানগর লেখা দেখে তিনি প্রতিবাদ জানান। এ ছাড়া নিজে জিয়ানগর উপজেলার নাম পরিবর্তনের সরকারি গেজেট নিয়ে মন্ত্রাণালয়ে গিয়ে গেজেট শাখায় তা দিয়ে আসেন। কিন্তু তারপরও এই বিষয়ে কোনো সুরহা না হওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড গ্রহণ করেনি।

ইন্দুরকানী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল লতিফ হাওলাদার বলেন, ‘ইউএনও আমাদের কয়েকজন কমান্ডারকে ডেকে বলেন আপনাদের কার্ড এসেছে। এগুলো বিতরণ করতে হবে। আমরা ঠিঠিটা দেখে বললাম এখানে ভুল আছে। জিয়ানগর উপজেলা লেখা আছে কিন্তু ইন্দুরকানী লেখা নাই। যেহেতু ২০১৭ সালে জিয়ানগর কেটে ইন্দুরকানী উপজেলা করা হয়েছে। তাই আমরা ভুলসহ এই কার্ড গ্রহণ করতে রাজি হইনি।’

সূত্র: আমাদের সময়
আইএ/ ১৯ অক্টোবর ২০২২

Back to top button