ক্রিকেট

ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে নিষিদ্ধ হলেন রানা

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর – উদীয়মান পেসার হিসেবে অনেকেই মনে করে থাকেন মেহেদী হাসান রানাকে। বিপিএলেও সবার নজর কেড়েছিলেন তিনি। সেই মেহেদী হাসান রানা এক মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ। বিসিবি থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে চলতি জাতীয় লিগে অংশ নিতে পারছেন না রানা।

গত ১১ অক্টোর নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে বিতর্কিত পোস্টটি করেন ২৫ বছর বয়সী এই পেসার। যেখানে জাতীয় দলে খেলতে না পারার জন্য হতাশা প্রকাশ করে বিসিবিকে একহাত নেন তিনি। দীর্ঘ সেই পোস্টে মেহেদী হাসান রানা লিখেছেন, বোর্ডের এক পরিচালক তাকে ‘এ’ দলের হয়ে খেলার কথা বলেন। এরপর ১০-১২ বার ফোন করার পরও সেই পরিচালক ফোন ধরেননি।’ নির্বাচকদেরও দায়ী করেন তিনি এজন্য।

রানা মন্তব্য করেন, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা থাকে কিভাবে? ক্রিকেট আসলে কি মাঝে মাঝে হতাশা সৃষ্টি করে। আর সেরা ফর্মে থাকার পরও জাতীয় দল কিংবা ‘এ’ দলের কোনো পর্যায়ে খেলতে না পারার কারণে পরিবারসহ নানা জায়গা থেকে বিরূপ মন্তব্য শুনতে হচ্ছে তাকে।

পরে অবশ্য ২০ মিনিটের মধ্যেই সে পোস্টটি ডিলিট করে দেন তিনি। সাথে এও জানান পোস্ট দেওয়ার সময় জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলতে তিনি মাঠেই ছিলেন। তবে তার পেইজের এডমিন প্যানেল অতি উৎসাহী হয়ে নির্বাচক ও বিসিবিকে দায়ী করে পোস্ট দেয়। যদিও তার হতাশা নিয়ে পোস্ট করতে নিজেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে, পোস্ট ডিলিট করলেও তার স্ক্রিনশট এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করায় মেহেদি রানাকে এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনি বিসিবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন এবং নিজের দোষ স্বীকার করে নেন। যেহেতু তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন, সেহেতু তাকে এক মাসের নিষেধজ্ঞার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) তিনি খেলতে পারবেন। ‘

রানা তার ওই ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘কিছুদিন আগের কথা; আমি ক্রিকেট বোর্ডের একজন নির্বাচককে ফোন করেছিলাম অন্য কিছু জানার জন্য। উনি আমাকে ফোন করে বললেন, বাংলাদেশ ‘এ’ দলে যোগ দিতে। আগামীকাল থেকে অনুশীলন শুরু হবে। তার পরদিন দেখলাম যে প্র্যাকটিস শুরু হয়ে গেল, কিন্তু আমি নাই! আমি তো ওনাকে ফোন দিতেই পারি। ওনাকে ফোন করলাম। কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ বার ফোন করেছি, ধরে নাই। তারপর আমি মেসেজ দিলাম। মেসেজ সিন করে রিপ্লাই দেয়নি। ….আসলেই যোগ্য মানুষগুলো যদি যোগ্য জায়গায় না থাকে, তাহলে ক্রিকেট কোনো দিন উন্নতি করবে না।’

সূত্র: জাগোনিউজ
আইএ/ ১৮ অক্টোবর ২০২২

Back to top button