নোয়াখালী

নোয়াখালীতে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে পিটিয়ে জখম

নোয়াখালী, ১৮ অক্টোবর – নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসানকে (৩৯) পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। নিরাপত্তার স্বার্থে বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আহত কামরুল হাসান বলেন, রাত সোয়া ৮টার দিকে বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলাম। শহীদ মিনার এলাকায় পৌঁছলে ৭-৮ জনের মুখোশধারী দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।

তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ছাকায়াত হোসেনের অনিয়মের বিষয়ে শিক্ষকরা স্মারকলিপি দিয়েছে। সেটা আমরা উপরে পাঠিয়েছি। এতে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।

কামরুল হাসানের দাবি, ছাকায়েত হোসেন গত রোববার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষকের সম্মানী ভাতার ৫০০ টাকা থেকে চাঁদা দাবি করেন। এ বিষয়ে দক্ষিণ রাজের হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মফিজ উদ্দিনসহ অনেকে প্রতিবাদ করেন। পরে ছাকায়েত ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক মফিজ উদ্দিনকে মারধর করেন। এ ঘটনার জের ধরে ছাকায়াতের যোগসাজশে আমার ওপর এ হামলা হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ছাকায়াত হোসেনের মুঠোফোনে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান।

হাতিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ছাকায়েত হোসেনসহ অজ্ঞাত ৬-৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালছে।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১৮ অক্টোবর ২০২২

Back to top button