জাতীয়

২০১৮ সালেই র‌্যাবকে সহযোগিতা বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন, ১৩ অক্টোবর – গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকেই বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রকার সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস।

স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য দিয়েছেন নেড প্রাইস।

এসময় তিনি র‌্যাব এবং বাহিনীটির ৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা পুনরায় উল্লেখ করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট করেসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে, বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে র‌্যাবের সাথে আমরা সকল ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিন্ন করি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আমরা র‌্যাবের পাশাপাশি এর ৬ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মকর্তাকে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দিই। ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দুই প্রাক্তন র‌্যাব কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে ৭০৩১ (সি) আইনের ক্ষমতাবলে চিহ্নিত করেছি’।

বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়া কিংবা বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানবাধিকার- এমনটা জানিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে সেগুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে এবং ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই (র‌্যাবের বিরুদ্ধে) নিষেধাজ্ঞা এবং এই ভিসা বিধিনিষেধের লক্ষ্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং (বাহিনীকে) সংস্কারের আওতায় আনা। সর্বোপরি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করা। আমরা যেমন এই অভিযুক্তদের দায়বদ্ধ রাখতে চাই, তেমনি আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই, ন্যায়বিচার পরিচালনা এবং আইনের শাসন রক্ষার জন্য নিজস্ব ক্ষমতা বিকাশে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবো। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদান, আমাদের উক্ত নীতিমালারই বহিঃপ্রকাশ’।

সূত্র: দেশ রূপান্তর
এম ইউ/১৩ অক্টোবর ২০২২

Back to top button