ঢাকা

বাবার মৃত্যুতে হতাশা থেকেই ছাদ থেকে লাফ নন্দিনীর

ঢাকা, ১৩ অক্টোবর – রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীর একটি বাড়ির ছয়তলা থেকে পড়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা রহমান নন্দিনী নিহত হয়েছেন। বুধবার দুপুর ১টার দিকে বনশ্রীর সি ব্লকের ৭ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাসার নিচ থেকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ বলছে বাবা খলিলুর রহমানের মৃত্যুর পর নন্দিনী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। বুধবার (১২ অক্টোবর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, ফাহমিদা রহমান নন্দিনী মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দী গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের মেয়ে। বর্তমানে মা ও ছোট বোনকে নিয়ে রামপুরার বনশ্রীতে রোড নং-০৭, ব্লক-সি, বাড়ি নং-১৬ এর ৬ষ্ঠ তলায় নিজেদের ফ্ল্যাটে থাকতেন।

তার বাবা সৌদি প্রবাসী ছিলেন। ২০১৬ সালে হঠাৎ বিদেশ থেকে তার বাবা বাংলাদেশে চলে আসায় নন্দিনীর অনার্স তৃতীয় বর্ষে থাকাকালীন তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি কোনো চাকরি করতেন না, অবিবাহিত ছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তিনি খুবই ইমোশনাল এবং সেনসিটিভ ছিলেন। বাবাকে খুব মিস করতেন এবং মাঝেমধ্যে স্মরণ করে কান্নাকাটি করতেন। বর্তমানে তাদের আয়ের কোনো উৎস নেই।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, নন্দিনী মঙ্গলবারও (১১ অক্টোবর) বাবাকে স্মরণ করে কয়েকবার কান্নাকাটি করেছিলেন। সবমিলিয়ে পড়াশোনা বন্ধ, চাকরি না পাওয়া, বিয়ে না হওয়া এবং বাবা মারা যাওয়া এগুলো মানতে না পেরে মানসিক চাপে বুধবার দুপুরের দিকে ষষ্ঠ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে, এর আগে নিজের আইডি থেকে ফেসবুকে কিছু কথা লিখেছিলন তিনি। তবুও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র: বিডি২৪লাইভ
আইএ/ ১৩ অক্টোবর ২০২২

Back to top button