জাতীয়

টিকটক করায় শাস্তি পাচ্ছেন পুলিশের ১৩ সদস্য

ঢাকা, ১২ অক্টোবর – টিকটক ভিডিও তৈরি করে শাস্তির মুখে পড়েছেন পুলিশের ১৩ সদস্য। ঢাকা মহানগর পুলিশের এই কনস্টেবলদের মধ্যে সাতজনই নারী।

এই ১৩ জনের তৈরি টিকটক ভিডিওতে ‘অশ্লীলতা’ থাকায় তা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।

এই ১৩ কনস্টেবলের সবাই ভিডিও তৈরির সময় ডিএমপিতে ছিলেন। ভিডিওতে তাদের ডিএমপির পোশাকেই দেখা গিয়েছিল। বদলি হয়ে এখন তারা পিরোজপুর, টাঙ্গাইল, রংপুর, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম নোয়াখালী, মাগুরা ও ঝালকাঠিতে কর্মরত আছেন।

তাদের ‍বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৬ অক্টোবর ঢাকা মহানগর পুলিশ তাদের বর্তমান কর্মস্থলের প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তারা পুলিশের পোশাক পরে ‘অশ্লীলতা’ করেছে। এজন্য বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পুলিশের অনেক সদস্যই টিকটকসহ সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় রয়েছেন। তবে তা শিক্ষা বা সচেতনতামূলক হলে কোনো সমস্যা নয়, বলেন ডিএমপি কমিশনার।

“আমরা অনেকগুলো যাচাই-বাছাই করে এই ১৩ জনের বিষয়টিকে সুনির্দিষ্ট ভাবে তামাশা, অশ্লীলতা পেয়েছি, যেটা পুলিশের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে ভিন্ন মেসেজ দেয়, যা কাম্য নয়।”

ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান, যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাদের বর্তমান কর্মস্থলের প্রধানরা ডিএমপির চিঠির আলোকে ব্যবস্থা নেবেন।

“অপরাধ ভেদে কারও লঘুদণ্ড, কারও গুরুদণ্ড হবে। লঘুদণ্ড হচ্ছে তিরস্কার, সতর্ক করে দেওয়ার মতো দণ্ড। গুরুদণ্ড হচ্ছে ‘ব্লাক মার্ক’, ৩ বছরের জন্য পদোন্নতি পরীক্ষা দিতে না পারা, সিনিয়র স্কেল না পাওয়ার মতো দণ্ড।”

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের যে নীতিমালা রয়েছে, তার আলোকে পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি নীতিমালা হয়েছে বলে জানান উপ-কমিশনার ফারুক। এই নীতিমালা ধরে ঢাকা মহানগর পুলিশ গত তিন বছর ধরে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ বা নজরদারি করছে বলে জানান তিনি।

সূত্র: দেশ রূপান্তর
এম ইউ/১২ অক্টোবর ২০২২

Back to top button