জাতীয়

সারা দেশে বিদ্যুতের ‘ইঁদুর খেলা’

ঢাকা, ১০ অক্টোবর – রাজধানীসহ সারা দেশেই সকাল-দুপুর তো বটেই, মধ্যরাতেও থাকছে না বিদ্যুৎ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। রাজধানীতে দিন-রাত মিলিয়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি আরো খারাপ।

কোনো কোনো জেলা ও গ্রামাঞ্চলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। হঠাৎ করে এমন অসহনীয় দুর্ভোগে কষ্ট বাড়ছে মানুষের।
চলমান লোড শেডিং কবে নাগাদ কমবে, তা কেউই নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে বেশকিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যার কারণে লোড শেডিং বেড়েছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান বলেন, ‘আজ সোমবার সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৬৮৬ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল এক হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। ’

তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। যার কারণে বিদ্যুতের ঘাটতি বাড়ছে। ’

রাজধানী মিরপুর-১ কলওয়ালা পাড়া বহুবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গত মঙ্গলবার গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনার পর থেকেই অস্বাভাবিক লোড শেডিং বেড়ে গেছে। প্রতিদিন সকাল ১০টার দিকে, দুপুর ২টার দিকে, সন্ধ্যার দিকে, মধ্যরাত ১২-১টার দিকে আবার মধ্যরাত ৩-৪টার দিকে নিয়মিত লোড শেডিং হচ্ছে। ফলে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। মধ্যরাতে একাধিকবার লোড শেডিংয়ের কারণে নিদ্রাহীন রাত কাটাতে হচ্ছে আমাদের। ’

এদিকে চলমান লোড শেডিং আগামী নভেম্বরের আগে কমার আশা দেখছেন না বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ‘গ্যাস আনতে না পারায় নভেম্বরের আগে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতির আশা নেই। ’

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। নসরুল হামিদ বলেন, ‘লোডের কারণে আমরা দিনের বেলা কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখছি। আবার দিনে যেগুলো চালাচ্ছি সেগুলো রাতে বন্ধ রাখছি। এজন্য লোড শেডিংয়ের জায়গাটা একটু বড় হয়ে গেছে। আমরা চেয়েছিলাম অক্টোবর থেকে কোনো লোড শেডিংই থাকবে না। কিন্তু সেটা আমরা করতে পারলাম না। কারণ, আমরা গ্যাস আনতে পারিনি। ’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যাটা সাময়িক হতে পারে। তবে আমি মনে করি, বললেই এটা সাময়িক হচ্ছে না। কারণ, বিশ্ব পরিস্থিতি আবার অন্য রকম করে ফেলে। এই মাসটা (অক্টোবর) একটু কষ্ট করতে হবে। আশা করছি, সামনের মাস থেকে আরেকটু ভালো হবে। ’

চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন শিল্প কারখানা গ্যাস দিচ্ছেন বলেও জানান নসরুল হামিদ।

সূত্র: কালের কণ্ঠ
এম ইউ/১০ অক্টোবর ২০২২

Back to top button