মেক্সিকোর স্কুলে দু’সপ্তাহে তিনবার ‘গণবিষক্রিয়া’, সন্দেহ কোকেনের
মেক্সিকো সিটি, ০৯ অক্টোবর – মেক্সিকোর একটি প্রত্যন্ত এলাকায় ‘অজ্ঞাত বস্তুর’ মাধ্যমে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ৫৭ স্কুলশিক্ষার্থী। এর মধ্যে একজনের অবস্থা ‘গুরুতর’ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শুক্রবার (৮ অক্টোবর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় চিয়াপাস রাজ্যের একটি সেকেন্ডারি স্কুলে ঘটেছে এ ঘটনা। খবর রয়টার্সের।
গত দু’সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয়বার একই রাজ্যে স্কুলশিক্ষার্থীরা গণবিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটলো। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে।
মেক্সিকান সোশ্যাল সিকিউরিটি ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, শুক্রবার বোচিল এলাকার একটি গ্রাম থেকে ৫৭ জন কিশোর-কিশোরী শিক্ষার্থী বিষক্রিয়ার লক্ষণ নিয়ে একটি স্থানীয় হাসপাতালে পৌঁছায়। একজনের অবস্থা ‘নাজুক’ হওয়ায় তাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
কর্তৃপক্ষ এর কারণ সম্পর্কে কিছু জানায়নি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, কিছু অভিভাবকের বিশ্বাস, শিক্ষার্থীরা দূষিত পানি বা খাবারের সংস্পর্শে আসায় বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।
বোচিল এলাকার নেতারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ। একটি রাষ্ট্রীয় তদন্তে সহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে একটি হাসপাতালে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা গেছে। সেখানে স্কুলের ইউনিফর্ম পরা কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে প্রাপ্তবয়স্করা চিৎকার করতে করতে বারান্দা দিয়ে ছুটে আসছিলেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত খবরে দাবি করা হয়েছে, বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের শরীরে কোকেন পাওয়া গেছে।
তবে শনিবার রাজ্য প্রসিকিউটরের কার্যালয় বলেছে, তারা বিষক্রিয়া সংক্রান্ত ১৫টি পরীক্ষা করেছে। এর কোনোটিতেই অবৈধ ওষুধ বা মাদক পাওয়া যায়নি।
শনিবারের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক ডজন অভিভাবক স্কুলের বাস্কেটবল কোর্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষার্থীরা বারবার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চান তারা। এসময় সেখানে বেশ কিছু পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে এক ব্যক্তি বলেছেন, তার মেয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল এবং অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি প্রাইভেট ল্যাবরেটরিতে তার কোকেন পরীক্ষা করা হলে ফলাফল ইতিবাচক এসেছে।
রাজ্য প্রসিকিউটর অফিস বলেছে, তারা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা করা চালিয়ে যাবে। তবে বিষক্রিয়ার আগের ঘটনাগুলো সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে একই রাজ্যের তাপাচুলা শহরে অন্তত দুটি গণবিষক্রিয়ার ঘটনার খবর জনায়। এতেও কয়েক ডজন শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছিল।
সূত্র: জাগোনিউজ
আইএ/ ০৯ অক্টোবর ২০২২