দক্ষিণ এশিয়া

বিহারে বাঘের পেটে সাত, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ

নয়াদিল্লী, ৮ অক্টোবর – ভারতের বিহার রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে এক মানুষখেকো বাঘ নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাঘের পেটে গেছে ১২ বছরের শিশুসহ সাতজন। বাঘটিকে দেখামাত্র গুলি করে মারার নির্দেশ জারি করে দক্ষ শিকারি বাহিনী নামিয়েছে প্রশাসন।

জানা গেছে, বাঘটিকে বাগে আনতে বনকর্মীদের নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।

সে দলে আছেন দক্ষ শিকারি এবং পশু বিশেষজ্ঞরা। তারা ছয় দিন ধরে বাঘটির সন্ধান করছেন। কিন্তু বনকর্মীদের ফাঁকি দিয়ে বাঘটি প্রতিবারই পালিয়ে যাচ্ছে।
বাল্মীকি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের পরিচালক কে নেশামানি জানিয়েছেন, বিহার রাজ্যের প্রধান মুখ্য বন কর্মকর্তা পি কে গুপ্তের নির্দেশ অনুযায়ী বাঘটিকে দেখামাত্র গুলি করে মারার জন্য একটি দল বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বাঘটি মারতে প্রায় ৫০০ জনের একটি দল দুমরি গ্রামে পৌঁছেছে। বাঘের গতিবিধি লক্ষ করতে আকাশে ড্রোনও ওড়ানো হচ্ছে।

এ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত এক বন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাঘটির বয়স সাড়ে তিন বছর। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সে হত্যালীলা চালিয়ে আসছে। বিহার সরকার মানুষখেকোকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ জারি করেছে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার বিহারের রামনগর থানার দামরো গোবর্ধন গ্রামের আখক্ষেত থেকে ৩৫ বছর বয়সী সঞ্জয় মাহাতোকে টেনে নিয়ে যায় বাঘটি। পরে ক্ষেতের অদূরে গলায় আঁচড়ের দাগ এবং ঘাড় ভাঙা অবস্থায় সঞ্জয়কে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার পর গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাঘ মারতে তারা আন্দোলনে নামে। তারা বন দপ্তরের বিরোধিতা করে পথ অবরোধ করেছে এবং বন বিভাগের একটি গাড়িও ভাঙচুর করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বাঘটি ১২ বছরের এক মেয়েকে মেরে ফেলে। জানা গেছে, নিজের বাড়ি থেকে ঘুমের মধ্যে তাকে টেনে নিয়ে যায় বাঘ।

বন কর্মকর্তাদের দাবি, গত ২০ দিনে একাধিকবার বাঘটি বন দপ্তরের পাতা ফাঁদ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

অন্যদিকে পশ্চিম চম্পারণ জেলার বাল্মীকি জাতীয় উদ্যানে অন্তত ৪০টি বাঘ রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্য থেকেই একটি বাঘ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: কালের কন্ঠ
আইএ/ ৮ অক্টোবর ২০২২

Back to top button