জাতীয়

নিরাপত্তার কথা বলে তরুণীকে বগিতে নেয় ধর্ষকরা

ঢাকা, ০৮ অক্টোবর – কমলাপুর রেলস্টেশনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে ট্রেনযোগে কমলাপুর রেলস্টেশনে আসে। সেখানে আসার পর স্টেশনের পানি বিক্রেতা ইমরান তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ফাঁকা ট্রেনে নিয়ে যায়।

পরে অন্যরাসহ পলাক্রমে ধর্ষণ করে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভোক্তভোগী কিশোরী জানিয়েছে তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। বাসায় রাগ করে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে রওয়ানা হয়ে রাতে ঢাকার কমলাপুরে আসে সে। সেখানে ২ নম্বর প্লাটফর্মে বসে থাকা অবস্থায় ইমরান (২০) নামে এক পানি বিক্রেতার সঙ্গে তার কথা হয়। কথার এক ফাঁকে ইমরান ওই কিশোরীকে প্লাটফর্মের একটি বেঞ্চে শুয়ে থাকতে বলেন এবং তাকে কেউ কিছু বললে তার (ইমরান) পরিচয় জানাতে বলেন। যখন অনেক রাত হয়ে যায় তখন ইমরান ওই কিশোরীকে নিরাপত্তার কথা বলে ১ নম্বর প্লাটফর্মের তুরাগ কমিউনিটি লোকাল ট্রেনের বগিতে নিয়ে যান। এরপর সেখানে শুয়ে থাকতে বলেন এবং বগির একপাশের দরজা আটকে দেন। যখন ওই কিশোরী শুড়ে পড়ে তখন ওপর পাশের একটি দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন ইমরানসহ আরও পাঁচজন। পরে সবাই মিলে একে একে তাকে ধর্ষণ করেন।

তিনি বলেন, রাত ১টার দিকে রেলওয়ের এক সদস্যকে সেখানে দিয়ে যাতায়াত করতে দেখে ধর্ষনকারীরা ভয়ে পালিয়ে যায়। তখন তিনি উঁকি দিয়ে দেখেন রেলের বগির ভেতর পড়ে আছে ওই কিশোরী। এরপর থানায় খবর দেন তিনি।

ওসি আরও বলেন, রাতেই ওই কিশোরীর শনাক্তের মাধ্যমে স্টেশন এলাকা থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রধান অভিযুক্ত ইমরান (২০) এখনও পলাতক রয়েছেন।

গ্রেফতাররা হলেন- সুমন (২১), নাঈম (২৫), নাজমুল (২৫), আনোয়ার (২০), রোমান প্রকাশ কালু (২২)।

সূত্র: বাংলানিউজ
এম ইউ/০৮ অক্টোবর ২০২২

Back to top button