জাতীয়

একদিনে চিড়িয়াখানায় ৩০ হাজার দর্শনার্থী

ঢাকা, ০৫ অক্টোবর – প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দুর্গোৎসব। আর এই উৎসবকে ঘিরে আজ ছিল সরকারি ছুটি। তাই মানুষও বের হয়েছে ঘুরতে। এরমধ্যে রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে যান অনেকে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন চিড়িয়াখানায় ছিল দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন। দুপুরের পর বেড়ে যায় মানুষের চাপ।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন বয়সের মানুষ চিড়িয়াখানায় ছুটে আসেন। অনেকে ছেলেমেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়তি বিনোদন উপভোগ করতে এখানে আসেন। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার দর্শনার্থীর আগমন হয় চিড়িয়াখানায়।

এদিকে কর্তৃপক্ষের বাড়তি ব্যবস্থা না থাকায় প্রাণীদের বিরক্ত করতে দেখা যায় অনেককে। কেউ কেউ প্রাণীদের খাবার ছুড়ে দিয়ে তাদের নানাভাবে বিরক্ত করে। এতে করে খাঁচাবন্দি প্রাণীরা এক কোনে চুপ করে বসে থাকে।

এদিকে সম্প্রতি জাতীয় চিড়িয়াখানায় পাঁচ প্রজাতির ১৬টি নতুন প্রাণী আনা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে দুটি আফ্রিকান সিংহ, তিনটি পেলিক্যান, তিনটি ওয়াইল্ডবিস্ট, নেদারল্যান্ডের চারটি ক্যাঙ্গারু ও চারটি লামা। দেশে আনার পর এসব প্রাণীকে ২১ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এখন সেগুলো উন্মুক্ত করা হয়েছে।

এর মধ্যে আবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চারটি ক্যাঙ্গারু সরবরাহের চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু প্লেনে দুটি ক্যাঙ্গারু মারা যায়। তাই প্রথমে দুটি ক্যাঙ্গারু সরবরাহ করার পর আরও দুটি আনা হয়। অন্যদিকে ডানা ভেঙে গেছে একটি পেলিক্যানের। সেটিও সরবরাহ করা হয়নি। মোট চারটির মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে তিনটি।

হকারদের বিষয়ে চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ছুটির দিনে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী বেড়ে যায়। ফলে বাইরে-ভেতরে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি শুরু করে হকাররা। এরা নিরাপত্তাকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এতে করে চিড়িয়াখানার পরিবেশ নষ্ট হয়। তাই তাদের পেলে আটকে রাখা হচ্ছে। হকার নির্মূলে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এ বিষয় দর্শনার্থীদেরও সচেতনতা প্রয়োজন।

তিনি আরও জানান, বিদেশ থেকে আনা পাঁচ জাতের ১৫টি নতুন প্রাণী এখন সুস্থ রয়েছে। এর মধ্যে ক্যাঙ্গারু, পেলিক্যান, লামা, ওয়াইল্ডবিস্ট দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আফ্রিকা থেকে আনা সিংহগুলোকে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। প্রতিদিন দুটি সিংহকে এক ঘণ্টা করে দর্শনার্থীদের জন্য খাঁচায় রাখা হচ্ছে। পেলিক্যান পাখিগুলো বর্তমানে খাঁচায় রাখা হলেও ভেতরে লেকের মধ্যে তাদের উন্মুক্ত ছেড়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। উন্মুক্ত পেলিক্যান দেখে মানুষ বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

ক্যাঙ্গারুর বিষয়ে চিড়িয়াখানার পরিচালক বলেন, আগেও একাধিকবার ক্যাঙ্গারু আনা হলেও সেগুলো বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি যে, তারা সেঁতসেঁতে পরিবেশে থাকতে পারে না। সে কারণে তাদের সেডে বালু দিয়ে শুষ্ক রাখা হচ্ছে।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ০৫ অক্টোবর ২০২২

Back to top button