জানা-অজানা

আজও নিখোঁজ যে পাঁচ বিমান

বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমানের। নিখোঁজ জেট ৩৭০ বিমানটি নিয়ে বেশ আলোচনাও হচ্ছে। তবে এখনো উদ্ধার করা যায়নি বিমানটিকে। এমনকি দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণও জান যায়নি। তবুও বিমানটি উদ্ধারে চলছে জোর প্রচেষ্ঠা। তবে রহস্যময় হলেও, বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই ধরণের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। বিমান চলাচলের ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে এমনই কিছু রোমাঞ্চকর দুর্ঘটনা।

ফ্লাইট ৯৯০ মিশরএয়ার
ফ্লাইট ৯৯০ মিশর এয়ারের বিমানটি নিখোঁজ হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। নিখোঁজ হওয়ার পর মিশর সরকারের অনুরোধে তদন্তে নামে ইউনাইটেড স্টেটস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন বোর্ড (এনটিএসবি)। বিমানটি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়নের খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। এনটিএসবি ওই ঘটনায় নাশকতার গন্ধ পেয়ে এর তদন্তভার এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে তদন্তে দেখা যায় যে, ওই বিমানের চালক আত্নঘাতী হয়েই ওই বিমানটিকে নিয়ে ইংল্যান্ডে আছড়ে পড়েন। ফলে ওই বিমানের ২১৭ জন আরোহী প্রাণ হারান। তবে মিশর সরকার বরাবরই ওই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করে।

ফ্লাইট ৭ প্যানএম
তখনকার সময় ফ্লাইট ৭ প্যানএম বিমানটি ছিল সবচেয়ে বিলাসবহুল। যা বর্তমান সময়ে বোয়িং ৩৭৭ এর আদলে নির্মিত ছিল। ১৯৫৭ সালের ৯ নভেম্বর বিমানটি হনুলুলু যাত্রকালে প্রশান্ত মহাসাগরে পতিত হয় এবং বিমানটির ৪৪ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। তবে বিমানটির দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো অজানা। নিহত যাত্রীদের শরীর থেকে কার্বন মনোক্সাইডের গন্ধ পাওয়ায় তদন্তকারীরা শেষ পর্যন্ত ধরে নিয়েছেন যে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ফ্লাইট ১৯ ইউএস মিলিটারি
১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর লাওডারেবল উপকূলে নিয়ম মাফিক মহড়া দিচ্ছিল মার্কিন বিমান বাহিনীর পাঁচটি বিমান। হঠাৎ মহড়া দলের অধিনায়ক দেখতে পান তার বিমানের কম্পাস কাজ করছে না। গ্রাউন্ড কন্ট্রোল থেকে তাকে বলা হয়, সূর্যকে তার বন্দরের দিকের ডানায় রেখে উত্তরের দিকে উড়ে যেতে। কিন্তু তিনি তা করলেন না। ফলে ওই অধিনায়ক এবং মহড়ারত পাঁচটি বিমান হারিয়ে যায় কুখ্যাত বারমুদা ট্রায়াঙ্গেলে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও আজ পর্যন্ত ওই পাঁচ বিমান এবং তার ভেতরে থাকা ২৭ বৈমানিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এমেলিয়া ইয়ারহার্ট
১৯৩৭ সালের জুনে মার্কিন নারী পাইলট এমেলিয়া ইয়ারহার্ট প্রথম নারী হিসেবে বিমানে উড়ে আটলান্টিক পাড়ি দেন। পরে তিনি বিমানে করে পৃথিবী প্রদক্ষিণের ঘোষণা দেন। ওই মিশনেই তিনি হাওল্যান্ড দ্বীপের কাছাকাছি স্থান থেকেই অদৃশ্য হয়ে যান। এরপর তার খোঁজে অভিযান শুরু হলেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। তার বিমানের কিছু অংশ ওই দ্বীপের কাছের সাগর থেকে উদ্বার করা গেলেও পাওয়া যায়নি তাকে, জানা যায়নি দুর্ঘটনার কারণও।

ফ্লাইট ৮০০ টিডব্লিউএ
এই বিমানটি ২৩০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করেছিল প্যারিসের উদ্দেশ্যে। কিন্তু উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই তাতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং বিমানটি সোজা আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়। এনটিএসবি এবং এফবিআইয়ের তদন্তে ধরা পড়ে মূলত শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আর/০৮:১৪/১৯ নভেম্বর

Back to top button