দক্ষিণ এশিয়া

বনের চিতা রক্ষায় কুকুর নিয়োগ ভারতে

নয়াদিল্লী, ২৭ সেপ্টেম্বর – নামিবিয়া থেকে আনা আটটি চিতাকে বাঁচিয়ে রাখতে তৎপর ভারত সরকার। তাই সেগুলোকে রক্ষায় কুকুর মোতায়েন করছে কর্তৃপক্ষ। চিতাগুলোকে চোরাশিকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে পাঁচ মাসের এক জার্মান শেফার্ডকে। কুকুরটির নাম ইলু। তবে শুধু এটিই নয়, মোট ছয়টি কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘সুপার স্নিফার’ স্কোয়াড।

৭৫ বছর পরে সম্প্রতি চিতার পুনরার্বিভাব ঘটেছে ভারতে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে (১৭ সেপ্টেম্বর) মধ্য প্রদেশের কুনো জাতীয় অভয়ারণ্যে ছাড়া হয় নামিবিয়া থেকে আনা চিতাগুলোকে। সেখানে যেন চোরাশিকারীরা থাবা না বসাতে পারে, তাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ‘ইলু’কে। এই মুহূর্তে ‘ইন্দো তিবেতিয়ান বর্ডার ফোর্সে’র কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে সে।

ইলু আপাতত তার পাঁচ সঙ্গীর সঙ্গে তিন মাস প্রশিক্ষণ নেবে। এরপর আরও চার মাস তাদের বশ্যতা, গন্ধ শোঁকা ও অপরাধীকে খুঁজে বের করার মতো বিষয়গুলো শেখানো হবে। তারপর আগামী বছরের এপ্রিল থেকে কাজে মোতায়েন করা হবে কুকুরগুলোকে।

এই ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া কুকুরদের এর আগে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে।

ইলুর নিয়ন্ত্রক সঞ্জীব শর্মা জানান, ইলু তার কাছে অনেকটা সন্তানের মতো। মাত্র দুই মাস বয়স থেকে কুকুরটি তার সঙ্গে রয়েছে।

কিন্তু চিতাগুলোকে সে কীভাবে রক্ষা করবে? এ প্রসঙ্গে সঞ্জীবের মন্তব্য, ইলু কিন্তু সেই অর্থে চিতাদের রক্ষা করবে না। কারণ ওরা (চিতা) নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে পারে। চিতা ও অন্যান্য প্রাণীদের চোরাশিকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য ইলুকে বনরক্ষীদের সঙ্গে জাতীয় উদ্যানের আশপাশে মোতায়েন করা হবে।

প্রশিক্ষণের সময় কুকুরগুলোকে বাঘ ও চিতার চামড়া, হাড়, হাতির দাঁত এবং শরীরের অন্যান্য অংশ, ভালুকের পিত্ত, রেড স্যান্ডার্সসহ বেশ কয়েকটি অবৈধ বন্যপ্রাণী পণ্য শনাক্ত করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

অতীতে বহু ক্ষেত্রেই চোরাশিকারীদের ধরিয়ে দিতে দুর্দান্ত ভূমিকা রেখেছে কুকুর বাহিনী। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই কুকুরগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র: জাগোনিউজ
আইএ/ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button