তৃণমূল-বিজেপিকে এক পংক্তিতে বসিয়ে লাল ফেরানোর ডাক মীনাক্ষীর
কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর – বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় দাঁড়িয়ে একযোগে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত, কেন্দ্র ও রাজ্য জনস্বার্থ বিরোধী নীতির অভিযোগ, ১০০দিনের কাজের দাবি-সহ একাধিক দাবি নিয়ে সোমবার কাঁথির মাজনায় সিপিআইএমের এক জনসমাবেশ হয়। সেই সমাবেশ থেকেই কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হন মীনাক্ষী। শুভেন্দুর জেলায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই বামনেত্রী। বলেন, “সেদিনের যে তৃণমূল আজ সে বিজেপি।” এই সভা থেকে লাল ফিরিয়ে আনার ডাক দেন তিনি।
একইসঙ্গে মীনাক্ষীর দাবি, ‘তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাত রয়েছে’। গত কয়েকদিনে একাধিকবার তৃণমূল বিভিন্ন মামলায় আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সোমবারও এক পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নাম করে বিকাশ ভট্টাচার্যকে নিশানা করেন। মাজনার সভা থেকে মীনাক্ষী বলেন, “হাইকোর্টের আইনজীবি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দৌড়ঝাঁপ বেশি করাচ্ছেন। মারব কম, দৌড় করাব বেশি, সেটাই করে দেখিয়েছেন।”
সোমবারই কলকাতার আদি বালিগঞ্জ পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি-সিপিএম তো এখন এক। কেউ কেউ বলছে, ‘৩৪ বছরে আমাদের সরকার তো এমন কিছু করেনি, তাই তোমরা কিছু করতে পারোনি’। আমি বলি ওটা মিথ্যা। কারণ আমরা স্লোগান দিয়েছিলাম, বদলা নয়। বদলা নয় বলেই জেনেশুনেও একটা গায়ে হাত দিইনি। বিকাশবাবুকে বলুন আপনি কেস করবার আগে বার্থ সার্টিফিকেটটা যে দিয়েছিলেন, যেটা সবথেকে বড় স্ক্য়াম, সে কাগজগুলো কোথায়? আমাদের কাছে আছে। চুপি চুপি দেব, লুকিয়ে লুকিয়ে দেব। যখন চ্যালেঞ্জ করেছেন। সারদা কাদের আমলে এসেছে? আমি তো ২০১২ সালে গ্রেফতার করিয়েছি। আজ বড় বড় কথা। চোরের মায়ের বড় গলা।”
সূত্র: টিভিনাইন
আইএ/ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২