দক্ষিণ এশিয়া

শাহবাজ শরীফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ, বিচারের প্রস্তাব

ইসলামাবাদ, ২১ সেপ্টেম্বর – পাকিস্তানের পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। যেখানে দেশটির নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের বিষয়ে লন্ডনে তার ‘পলাতক’ বড় ভাই নওয়াজ শরিফের সাথে পরামর্শ করার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তার বিচার চেয়েছে।

পাঞ্জাবের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী বাশারত রাজা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের বিরুদ্ধে সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদের (রাষ্ট্রদ্রোহিতা) অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংসদে প্রস্তাব পেশ করেন। উল্লেখ্য, পাঞ্জাব ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি এবং তার মিত্র দল পিএমএলকিউ দ্বারা শাসিত।

রেজুলেশনে বলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে লন্ডনে একজন পলাতক-পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাথে পরামর্শ করেছিলেন – নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের বিষয়ে, যা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর পদকে কলঙ্কিত করেনা বরং সাধারণ ব্যক্তিদের সাথে সংবেদনশীল বিষয় শেয়ার করার মাধ্যমে সেনাবাহিনীকেও অপমানিত করে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে লন্ডনে গিয়েছিলেন। শহরে অবস্থানকালে তিনি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করেন এবং পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন।

লাহোর হাইকোর্ট তাকে চিকিৎসার ভিত্তিতে আট সপ্তাহের জন্য জামিন দেয়ার পর নওয়াজ শরিফ নভেম্বর ২০১৯ থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন।

লন্ডনে যাওয়ার আগে, নওয়াজ শরিফ লাহোরের লট লাখপত কারাগারে আল-আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের সাজা ভোগ করছিলেন।

বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া চলতি বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে অবসরে যাচ্ছেন। শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার বলেছে যে তারা নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের জন্য তাদের মিত্র দল এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয়দের সাথে পরামর্শ করবে।

এদিকে কেন্দ্রীয় বিরোধী দল পিটিআইও শাহবাজ শরীফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে।

পিটিআই-এর চেয়ারম্যান ইমরান খান লন্ডনে নওয়াজ শরিফের পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগের বিষয়ে পরামর্শ করার জন্য শাহবাজ শরিফের সমালোচনা করেছেন।

ইমরান খান বলেন, আমরা ছবি দেখছি যে শাহবাজ শরিফ পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগের জন্য নওয়াজ শরিফের সাথে পরামর্শ করছেন। আমাদের দেশের জন্য এর চেয়ে বড় অপমানের আর কী হতে পারে যে চোররা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই ধরনের কাজ স্পষ্টত প্রধানমন্ত্রীর শপথ লঙ্ঘন এবং সরকারী গোপনীয়তা আইনের লঙ্ঘন হিসাবে অভিহিত করেছেন ইমরান।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button