ঢালিউড

ফারিয়া বললেন, সিঙ্গেলদের জন্য আমি আছি

ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর – সম্প্রতি রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (এআইইউবি) সিনেমার প্রচারণা গিয়েছিল অপারেশন সুন্দরবন টিম। সেখানে শিক্ষার্থীদের সিনেমাটি দেখার জন্য আহ্বান জানান চলচ্চিত্রে অভিনয় করা শিল্পীরা।

নুসরাত ফারিয়া সবাইকে সিনেমাটি দেখার জন্য বলছিলেন। একজন শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে জানালেন, এআইইউবির সিঙ্গেলদের জন্য তিনি রয়েছেন।

এ সময় একজন শিক্ষার্থী বলে ওঠেন, ‘আমি তো সিঙ্গেল বাট আপনি বলছেন গার্লফ্রেন্ড নিয়ে যাইতে। আমার তো গার্লফ্রেন্ড নাই। ’
এ সময় নুসরাত ফারিয়া চোখে-মুখে বিস্ময় মেখে বলেন, ‘আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি, ইউ গো উইথ মি। টোয়েন্টি থার্ড সেপ্টেম্বর, ফ্রাইডে থ্রি পিএম আমরা একসঙ্গে মুভি দেখছি, ওকে? আর যার এই ফ্রাইডে চলে গেলে, পরের ফ্রাইডে যে আছে, যারা সিঙ্গেল আছ; আই অ্যাম হেয়ার। আমি এভেইলেবল। ’

এই আয়োজনে অভিনেতা সিয়াম, জিয়াউল রোশান, নুসরাত ফারিয়া, দর্শনা বণিকসহ অপারেশন সুন্দরবনের কুশলীরা। নুসরাত ফারিয়া মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে প্রথমেই জানালেন, তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে ব্যক্তিগত কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন।

অপারেশন সুন্দরবন মুক্তির আগে সর্বোচ্চ প্রচারণা চালাচ্ছে এই সিনেমার কুশলীরা। এরই অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচারণায় অংশ নিয়েছে।

বিশ্ব ঐতিহ্য, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। মৎস্য ও বনসম্পদের প্রাচুর্যে ভরা এ বনভূমিতে জলদস্যুদের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। প্রাচীনকাল থেকেই মগ, হার্মাদ ও ফিরিঙ্গিদের হাতে জীবন দিতে হয়েছে মাছ ও লবণ ব্যবসায়ীদের।

যশোরের রাজা প্রতাপ আদিত্যের নৌবাহিনীর প্রধান, ওলন্দাজ সেনাপতি লড়েছিলেন এই জলদস্যুদের বিরুদ্ধে। কালের চক্রে জলদস্যুদের ভয়াবহতা আরো বেড়ে যায় সুন্দরবনে।

একসময় জলদস্যুদের হাতে আধুনিক অস্ত্র এলে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে দস্যুতা। সুন্দরবনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষা, মৎস্য ও বনজ সম্পদের সংরক্ষণ, সর্বোপরি সুন্দরবনকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১২ সালে র‌্যাব ফোর্সেসকে লিড এজেন্সি ও র‌্যাব মহাপরিচালককে প্রধান সমন্বয়কারী করে তৈরি হয় টাস্কফোর্স।

র‌্যাবের ক্রমাগত অভিযানের ফলে ২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি বাহিনীর ৩২৮ জন জলদস্যু ৪৬২টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

র‌্যাব কর্তৃক সুন্দরবন জলদস্যুমুক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ নভেম্বর ২০১৮ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত হওয়ার ঐতিহাসিক ঘোষণা প্রদান করেন। বর্তমানে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ার প্রত্যক্ষ সুফল ভোগ করছে সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন উপকূলবাসী। বিকশিত হচ্ছে সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনশিল্প।

এভাবেই সরকারের দূরদর্শিতায় সুন্দরবনকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হওয়ার পাশাপাশি উন্মোচিত হয়েছে সম্ভাবনার নতুন দ্বার।

সুন্দরবনে র‌্যাবের এই সাফল্যগাথার রোমাঞ্চকর উপাখ্যান জনসাধারণের সামনে তুলে ধরার জন্য র‌্যাব ওয়েলফেয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের প্রযোজনায় ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র পরিচালক দীপংকর দীপনের পরিচালনায় সুন্দরবনে র‌্যাবের দুঃসাহসিক অভিযান নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাকশন থ্রিলার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অপারেশন সুন্দরবন।

আইএ/ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২াঢাাকা, ২০ সেপ্টেম্বর – সম্প্রতি রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (এআইইউবি) সিনেমার প্রচারণা গিয়েছিল অপারেশন সুন্দরবন টিম। সেখানে শিক্ষার্থীদের সিনেমাটি দেখার জন্য আহ্বান জানান চলচ্চিত্রে অভিনয় করা শিল্পীরা।

নুসরাত ফারিয়া সবাইকে সিনেমাটি দেখার জন্য বলছিলেন। একজন শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে জানালেন, এআইইউবির সিঙ্গেলদের জন্য তিনি রয়েছেন।

এ সময় একজন শিক্ষার্থী বলে ওঠেন, ‘আমি তো সিঙ্গেল বাট আপনি বলছেন গার্লফ্রেন্ড নিয়ে যাইতে। আমার তো গার্লফ্রেন্ড নাই। ’
এ সময় নুসরাত ফারিয়া চোখে-মুখে বিস্ময় মেখে বলেন, ‘আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি, ইউ গো উইথ মি। টোয়েন্টি থার্ড সেপ্টেম্বর, ফ্রাইডে থ্রি পিএম আমরা একসঙ্গে মুভি দেখছি, ওকে? আর যার এই ফ্রাইডে চলে গেলে, পরের ফ্রাইডে যে আছে, যারা সিঙ্গেল আছ; আই অ্যাম হেয়ার। আমি এভেইলেবল। ’

এই আয়োজনে অভিনেতা সিয়াম, জিয়াউল রোশান, নুসরাত ফারিয়া, দর্শনা বণিকসহ অপারেশন সুন্দরবনের কুশলীরা। নুসরাত ফারিয়া মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে প্রথমেই জানালেন, তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে ব্যক্তিগত কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন।

অপারেশন সুন্দরবন মুক্তির আগে সর্বোচ্চ প্রচারণা চালাচ্ছে এই সিনেমার কুশলীরা। এরই অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচারণায় অংশ নিয়েছে।

বিশ্ব ঐতিহ্য, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। মৎস্য ও বনসম্পদের প্রাচুর্যে ভরা এ বনভূমিতে জলদস্যুদের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। প্রাচীনকাল থেকেই মগ, হার্মাদ ও ফিরিঙ্গিদের হাতে জীবন দিতে হয়েছে মাছ ও লবণ ব্যবসায়ীদের।

যশোরের রাজা প্রতাপ আদিত্যের নৌবাহিনীর প্রধান, ওলন্দাজ সেনাপতি লড়েছিলেন এই জলদস্যুদের বিরুদ্ধে। কালের চক্রে জলদস্যুদের ভয়াবহতা আরো বেড়ে যায় সুন্দরবনে।

একসময় জলদস্যুদের হাতে আধুনিক অস্ত্র এলে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে দস্যুতা। সুন্দরবনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষা, মৎস্য ও বনজ সম্পদের সংরক্ষণ, সর্বোপরি সুন্দরবনকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১২ সালে র‌্যাব ফোর্সেসকে লিড এজেন্সি ও র‌্যাব মহাপরিচালককে প্রধান সমন্বয়কারী করে তৈরি হয় টাস্কফোর্স।

র‌্যাবের ক্রমাগত অভিযানের ফলে ২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি বাহিনীর ৩২৮ জন জলদস্যু ৪৬২টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

র‌্যাব কর্তৃক সুন্দরবন জলদস্যুমুক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ নভেম্বর ২০১৮ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত হওয়ার ঐতিহাসিক ঘোষণা প্রদান করেন। বর্তমানে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ার প্রত্যক্ষ সুফল ভোগ করছে সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন উপকূলবাসী। বিকশিত হচ্ছে সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনশিল্প।

এভাবেই সরকারের দূরদর্শিতায় সুন্দরবনকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হওয়ার পাশাপাশি উন্মোচিত হয়েছে সম্ভাবনার নতুন দ্বার।

সুন্দরবনে র‌্যাবের এই সাফল্যগাথার রোমাঞ্চকর উপাখ্যান জনসাধারণের সামনে তুলে ধরার জন্য র‌্যাব ওয়েলফেয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের প্রযোজনায় ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র পরিচালক দীপংকর দীপনের পরিচালনায় সুন্দরবনে র‌্যাবের দুঃসাহসিক অভিযান নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাকশন থ্রিলার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অপারেশন সুন্দরবন।

আইএ/ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button