দক্ষিণ এশিয়া

বন্যায় ঘর হারানো মায়ের আর্তনাদ: ‘ঘর হারিয়েছি, এবার হয়তো সন্তানকেও হারাবো’

ইসলামাবাদ, ২০ সেপ্টেম্বর – বন্যায় ভেসে গেছে ঘর, সংসারের অনেক কিছুই তার এলোমেলো। এখন অসুস্থ সন্তানকে কোলে নিয়ে বসে আছেন পাকিস্তানের নুরজাদি। সেই কঠিন মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এই মা বললেন, ‘আমার সন্তান ভুগছে, এই দৃশ্য দেখতে পারছি না।’

কয়েক সপ্তাহ আগেই বন্যায় ঘর হারিয়েছেন ‍নুরজাদি এখন তার সন্তানের জীবনও শঙ্কায়। তাই এমন অসহায় আকুতি, ‘আমরা গরিব এবং আমরা তাকে (সন্তান) নিয়ে শঙ্কিত।’

নুরজাদির সন্তানের হাতে ক্যানুলা লাগিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক। ব্যথায় কাতরাচ্ছে শিশুটি। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত শিশুটির জরুরি রক্ত সঞ্চালন দরকার।
কেবল নুরজাদি নয় পাকিস্তানের বন্যা কবলিত সিন্ধ প্রদেশের লাখ লাখ পরিবারের গল্প এমন বেদনায় ঠাসা। বন্যার পর ওইসব এলাকায় ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া ও ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক গুণ বেড়েছে।

অনেক শিশুও তাই পড়েছে জীবনের ঝুঁকিতে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন স্থানীয় হাসপাতালে আসা অধিকাংশ শিশুই ভুগছে বন্যাজনিত রোগে।

গুলাম মোস্তফা নামের আরেক রোগীর স্বজনও তার শিশুকে নিয়ে আছেন শঙ্কা। তার দুই বছরের নাতিও অসুস্থ। তিনি বলেন, ‘বন্যায় আমার বাড়ি তলিয়ে গেছে।’ ‘আমি তাকে (নাতি) নিয়ে ক্যাম্পের ডাক্তারদের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু তারা আমার নাতিকে কিচিৎসা দিতে পারেনি তাই আমার এখানে আসা।

পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রায় চার কোটি মানুষ আক্রান্ত, মৃতের সংখ্যাও দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট। ত্রাণ ও চিকিৎসাও মিলছে না অনেক এলাকায়। জলাবদ্ধতার কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগের প্রকোপও বাড়ছে।

সূত্র: বিডি প্রতিদিন
আইএ/ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button