ফুটবল

একসময় আমাকে বলা হতো ‘মহিলা কোচ’

কাঠমান্ডু, ২০ সেপ্টেম্বর – এতদিনের পরিশ্রমের ফল পেয়ে গোলাম রব্বানী ছোটন পিছু ফিরে তাকালেন। মেয়েদের ফুটবল নিয়ে কাজ করার জন্য ঠাট্টা-উপহাস কত কিছুই না সইতে হয়েছে তাকে! ‘মহিলা কোচ’- শুনতে হয়েছে এমন কথাও! মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম শিরোপা জয়ের ইতিহাস গড়ার পর বাংলাদেশ কোচ সেই সব দিনের স্মৃতি আওড়ালেন। কাউকে কথার বাণে বিদ্ধ করলেন না বটে, কিন্তু কিছু না বলেও অনেক কিছুই বুঝিয়ে দিলেন তিনি!

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে সোমবার ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শামসুন্নার জুনিয়র এগিয়ে নেওয়ার পরে কৃষ্ণা রানী সরকারের জোড়া গোলে প্রাপ্তির চূড়ায় পৌঁছেছে দল।

ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় পেছনের দিনগুলোর দিকে তাকালেন ছোটন। এই পথচলায় পাশে পাওয়াদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানালেন। অনেক উপহাসের জবাব দিতে পারার তৃপ্তির ঝিলিকও ছিল তার চোখে-মুখে।

“এটা আমার একার সাফল্য নয়, সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় আমরা এখানে এসেছি। আজকে এই জিনিসটা বলতে হয়, যখন আমি মহিলা দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন আমার বন্ধু-বান্ধবরাও আমাকে বলত যে ‘মহিলা কোচ’। যখন রাস্তায় হেঁটে যেতাম, আমাকে বলা হত ‘মহিলা কোচ’। এভাবে উপহাস করত। আমি কাছে ওরকম লাগত না। আমি কাজকেই পছন্দ করতাম।”
“প্রথমেই আমি মেয়েদের আবারও স্যালুট জানাব। তারা আসলে অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেছে। দেশের প্রতি, বাবা-মায়ের প্রতি তাদের যে কৃতজ্ঞতাবোধ, সেটা তারা দেখিয়েছে। আজকে মেয়েরা এ পর্যন্ত এসেছে, তারা তৈরি হয়েছে। ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, উনি ২০১৬ সালে স্বপ্ন দেখেছিলেন (মেয়েদের নিয়ে), দীর্ঘমেয়াদী ট্রেনিং যদি আমরা করি, একসাথে মেয়েদের যদি রাখতে পারি, তাহলে মনে হয় সফলতা আসবে। সেটা আজ এসেছে। বাংলাদেশের যে ১৮ কোটি মানুষ, আজকের যে অবস্থা, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে, গণমাধ্যমকর্মীরা যেভাবে প্রশংসা করছেন, অবশ্যই ভালো লাগছে।”

সূত্র: বিডিনিউজ
আইএ/ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button