ঢালিউড

‘বাংলা ছবি এখন আর প্রেম-প্রতিশোধে আটকে নেই’

ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর – নন্দিত অভিনেতা রিয়াজ আহমেদ। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত ছবি ‘অপারেশন সুন্দরবন’। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর বায়োগ্রাফি ‘মুজিব’ ও ‘রেডিও’ নামে দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। দর্শকের প্রত্যাশা পূরণে চলচ্চিত্রে নতুনভাবে ফেরা, বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে-

অনেক দিন পর আপনার কোনো ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সাফল্য পেলে নিয়মিত বড় পর্দায় দেখা যাবে?

কোনো ছবির সাফল্য বা ব্যর্থতা দিয়ে এই সিদ্ধান্তে আসা যাবে না- অভিনয় করব কি করব না। ভালো কিছুর পর যে আত্মতৃপ্তি পাই, সেটাই নতুন কিছুর প্রেরণা জোগায়। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ তেমনই একটি ছবি, যা অভিনয়ের জন্য নতুন করে প্রেরণা জোগাচ্ছে। তাছাড়া অভিনয় তো সত্তায় মিশে গেছে, এটা বাদ দিয়ে অন্য কিছু ভাবতেও চাই না। আমৃত্যু অভিনয় করতে চাই। কিন্তু এটাও সত্যি, সস্তা জনপ্রিয়তার জোয়ারে কখনও গা ভাসাব না।

যে ধরনের গল্প বা চরিত্রে অভিনয় করতে চান, তেমন গল্প বা চরিত্র সব সময় পাবেন বলে আশা করেন?

এই প্রশ্ন দুই বছর আগেও যদি করা হতো, তাহলে হয়তো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারতাম না। কিন্তু এখন যে ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমা তৈরি হচ্ছে, তা দেখে এটা বলা যায়, ভালো কাজের সুযোগ এখনও ফুরিয়ে যায়নি। এর চেয়ে বড় বিষয় হলো, দিন দিন দর্শক হলমুখী হচ্ছেন। আমাদের সিনেমা নিয়ে তাঁদের প্রত্যাশাও বেড়েছে। এসব হলমুখী দর্শক আশার আলো দেখাচ্ছেন।

দর্শক হলমুখী হওয়ার পেছনে কোন বিষয়টা বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন?

গৎবাঁধা সিনেমা নির্মাণ থেকে সরে আসা, পর্দায় নিজেদের গল্প তুলে ধরা- এই বিষয়গুলো দর্শকে হলে টেনে আনছে। সিনেমা মানেই নায়ক-নায়িকার প্রেম, ভিলেনের সঙ্গে যুদ্ধ, পারিবারিক প্রতিশোধ- এই ধ্যান-ধারণা থেকে আমরা সরে আসতে পেরেছি বলেই নতুন কিছু দেখার সুযোগ পাচ্ছি। আবার নতুন মানেই এই নয়, এখনকার সিনেমার গল্পে চেনা জীবনের ছায়া নেই। আমরা এখন সেটাই দেখছি, যেখানে আমাদের জীবনের ছায়া আছে। তাই গল্পের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারছি।

নতুন যে কাজগুলো করছেন, সেগুলো কতটা আত্মতৃপ্তি দিচ্ছে?

আসলে নায়ক হতেই হবে- এই ভাবনা নিয়ে এখন আর কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না। পর্দায় নিজের উপস্থিতি কম হলেও সেটি গুরুত্বপূর্ণ কিনা- এটা থাকে ভাবনায়। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন কেন এতে অভিনয় করেছি। এটি এমন এক ছবি, যার সব চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অভিনয়ে যে আত্মতৃপ্তি, এর পুরোটাই পেয়েছি। আর ‘মুজিব’ ছবিতে অভিনয় করে শুধু আত্মতৃপ্তি নয়, ইতিহাসের অংশ হতে পেরেছি বলেই মনে করি। এই ছবির সূত্র ধরে শ্যাম বেনেগালের মতো গুণী নির্মাতার কাছে অনেক কিছু শেখারও সুযোগ হয়েছে। আর ‘রেডিও’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে। এটাও অভিনয় ক্যারিয়ারের অন্যরকম একটি কাজ।

এখন কি তাহলে পর্দায় আগের রিয়াজকে খুঁজে পাওয়া যাবে না?

সময়ের সঙ্গে চলতে গেলে নিজেকে বদলাতে হবেই। যেহেতু সিনেমার ধরন বদলেছে, তাই আমাকেও নতুনভাবেই পর্দায় দেখা যাবে- এটাই স্বাভাবিক। চিরকাল রোমান্টিক নায়কের ইমেজ ধরে রাখব- এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।

আইএ/ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button