ক্রিকেট

নিউজিল্যান্ডের মতো শেড দেওয়া প্র্যাকটিস উইকেট হবে শেরে বাংলায়

ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর – ‘উইকেটের চরিত্র পাল্টাতে হবে। এই ঠেলাগাড়ির গতির স্লথ-মন্থর আর গড়পড়তা হাঁটু সমান উচ্চতার মরা পিচে খেলে কোনোই উপকার হবে না। ব্যাটিং-বোলিং উন্নয়নে চাই স্পোর্টিং পিচ। দেশের প্রতিটি ভেন্যুর পিচের আচরণ ও চরিত্র বদলাতে হবে।’

অনেককাল আগে থেকেই এ দাবি ক্রিকেট অনুরাগীদের। ক্রিকেট কর্তাদের মুখেও শোনা গেছে আশ্বাস- আজ না কাল, কাল না পরশু বদল হবে উইকেটের চেহারা। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি।

তবে আশার কথা, এবার ঢাকার মিরপুরের শেরে বাংলা, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম আর সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের পিচ ও আউটফিল্ড উন্নয়নে নেওয়া হয়েছে কার্যকর উদ্যোগ। নিউজিল্যান্ড থেকে আউটফিল্ড ও পিচ বিশেষজ্ঞ আনা হয়েছে।

কিউই ক্রিকেটের হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট আয়ান জোসেফ ম্যাকেঞ্জি এখন ঢাকায়। আজ সোমবারই এসেছেন তিনি। তিনি কী করতে এসেছেন?বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটি ম্যানেজার আব্দুল বাতেন জানালেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাথে কথা বলে বিসিবি জোসেফ ম্যাকেঞ্জিকে এনেছে। যিনি পিচ ও আউটফিল্ড পরিচর্যায় তিনি খুবই অভিজ্ঞ। নিউজিল্যান্ডের সবগুলো মাঠ তিনি দেখাশোনা করেন। ব্যবহারিক জ্ঞানের দিক থেকেও তিনি বেশ দক্ষ।’

ম্যাকেঞ্জিকে কীভাবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা বিসিবির? বাতেনের জবাব, ‘আমরা তাকে ভেন্যুগুলোয় নিয়ে যাবো। তিনি ভেন্যু পরিদর্শন করবেন। আগামীকাল মঙ্গলবার আমরা চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম যাবো। সেখান থেকে আমরা চলে যাবো কক্সবাজার। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার থেকে ফিরে আসব ঢাকায়। ২২ তারিখে আমরা যাবো সিলেটে।’

বাতেন যোগ করেন, ‘এরপর ২৩ এবং ২৪ সেপ্টেম্বর আমাদের কিউরেটরদের নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ হবে। আমাদের যেসব কিউরেটর, সহকারী কিউরেটর এবং হেড গ্রাউন্ডসম্যান আছেন; যারা বিভিন্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটগুলোর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাদের নিয়ে হবে এই ওয়ার্কশপ।’

বাতেন আরও জানালেন, ‘নিউজিল্যান্ডে সারাবছর বৃষ্টির সময়ও যাতে প্র্যাকটিস করা যায়, সেই ব্যবস্থা আছে। আমরা মিরপুর ইনডোর একাডেমি মাঠেও সেরকম ব্যবস্থা নেবো। মোটামুটি এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। নিউজিল্যান্ডে বর্ষাকালেও প্র্যাকটিস উইকেটের ওপরে শেড থাকে, যা আবার সরানোও যায়। এমন ব্যবস্থা থাকলে সারা বছরই ক্রিকেটাররা প্র্যাকটিস করতে পারবে। সেই পদ্ধতিটি শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে বাংলাদেশে। এটি মূলত একটি কানাডিয়ান কোম্পানি যারা নিউজিল্যান্ডে এ ব্যবস্থা করেছে। সেই একই কোম্পানি থেকে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সহায়তায় আমরা বাংলাদেশে সেটি আনার ব্যবস্থা করছি।’

সূত্র: জাগোনিউজ
আইএ/ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button