অপরাধ

কয়েন কিনতে ব্যবসায়ী খোয়ালেন ৭৫ লাখ টাকা

ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর – কথিত ম্যাগনেটিক কয়েনের মাধ্যমে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগে প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ—ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ।

শনিবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা হলেন- ইউসুফ আলী, খবির চৌকিদার, মো. শামীম, নাসির উদ্দিন আকন ও জসিম গাজী। তাদের কাছ থেকে কথিত দশটি ম্যাগনেটিক কয়েন জব্দ করা হয়েছে।

গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম রেজাউল হক বলেন, ভিকটিম একজন ব্যবসায়ী। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভিকটিমের পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে কয়েকজন ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ীর পরিচয় করিয়ে দেন। আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা ভিকটিমকে তাদের কাছে থাকা একটি কয়েনের কথা বলেন, যা ক্রয় করে দেশে বা বিদেশে বিক্রি করলে তিনি অনেক টাকার মালিক হতে পারবেন। ম্যাগনেট কয়েন কেনার জন্য মিন্টু নামে এক ব্যক্তি ইনভেস্ট করেছেন, যার সাথে দেখা করার জন্য ভিকটিম খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ এলাকায় যান। সেখানে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেন ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ীরা। এসময় ইউসুফ ভিকটিমকে ম্যাগনেট কয়েন কেনার জন্য উৎসাহিত করেন। ইউসুফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় এবং ম্যাগনেট কয়েন সম্পর্কে তার ধারণা থাকায় ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করেন। ভিকটিম ওই অফিসে প্রায়শই যাতায়াত করতে থাকেন। যাতায়াত এবং কথাবার্তার এক পর্যায়ে ২৮ আগস্ট মিন্টুর দেওয়া ঠিকানায় কথিত ম্যাগনেট কয়েন ক্রয় করার জন্য ৭৫ লাখ টাকা দেন।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, টাকা দেওয়ার চারদিন পর ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ ফোন করে ভিকটিমকে জানান, কয়েকদিনের মধ্যে তাদের বরিশাল যেতে হবে। ৩ সেপ্টেম্বর প্রাইভেটকারে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফসহ ভিকটিম বরিশাল যায়। সেখানে তারা একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে এবং ফোনে ইঞ্জিনিয়ার ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করে। তারা কথিত ম্যাগনেট কয়েন নিয়ে আসব, আসতেছি বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে। ৪ সেপ্টেম্বর ভিকটিমকে হোটেলে রেখে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ ম্যাগনেট কয়েনের মালিকদের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরে ভিকটিম বারবার তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তখন ভিকটিম বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর ভিকটিম বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এডিসি রেজাউল হক বলেন, মামলাটির তদন্তকালে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এ ঘটনার সাথে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর ধানমন্ডি থানার লেকপাড় এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রের বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

সূত্র: ঢাকাটাইমস
আইএ/ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button