উত্তর আমেরিকা

‘শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধশালী ও স্থিতিশীল সমাজের স্বার্থে শিক্ষাখাতে অর্থায়ন জরুরি’

ওয়াশিংটন, ১৮ সেপ্টেম্বর – করোনার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষা খাতের বরাদ্দ কমিয়ে দেয়ার সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে চলমান ৪দিনব্যাপী ‘ট্রান্সফর্মিং এডুকেশন সামিট’ (শিক্ষা ব্যবস্থায় গতি সঞ্চার সম্মেলন) এর দ্বিতীয় দিন শনিবার মহাসচিব গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বিশ্ব এখন বহুবিধ সংকটের মধ্যে। সরকার, ব্যবসা এবং পারিবারিক সর্বত্র অর্থ সংকট চলছে। এছাড়া করোনা মহামারি শুরুর সময়েই বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ দেশেই শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। অথচ আমরা সকলেই জানি এবং উপলব্ধি করি যে, শিক্ষা হচ্ছে শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠনের জন্যে অপরিহার্য একটি অবলম্বন। এসময় মহাসচিবের পাশে ছিলেন জাতিসংঘের ‘গ্লোবাল এডুকেশন’ সম্পর্কিত বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন।

মহাসচিব উল্লেখ করেন, শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ হ্রাসের ফলে বিদ্যমান সংকট আরও ঘনীভূত করা হচ্ছে। তাই আমরা মনে করছি খুব দ্রুত এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে। মুদ্রাস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে নিত্য-প্রয়োজনীয় খাদ্য-সামগ্রী ক্রয়ে যখন নাগরিকদের হিমসিম খেতে হচ্ছে, সে অবস্থায় ধনী দেশসমূহকে এগিয়ে যেতে হবে। ধনী দেশগুলো তার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আহরিত অর্থ শিক্ষা খাতে বেশি করতে পারে। কারণ, এখন দরকার হচ্ছে এ খাতের বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়া। আর এটা প্রয়োজন চমৎকার বিশ্ব গড়ার সংকল্পকে বাস্তবায়িত করার স্বার্থেই।
মহাসচিব উল্লেখ করেন, স্বল্প এবং মাঝারি আয়ের দেশসমূহের ৭০ কোটি শিশু স্কুলে যেতে পারছে না। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দাঙ্গা-যুদ্ধজনিত কারণে আরও কিছু দেশের শিশুরা স্কুলে যেতে সক্ষম হচ্ছে না। এদের সকলের জন্যেই শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে মনোনিবেশ করতে হবে অবশিষ্ট বিশ্বের নেতৃবৃন্দকে।

মহাসচিব মনে করেন, পিছিয়ে থাকা শিশুদের শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে এ মুহূর্তে দরকার অন্তত: ১০ বিলিয়ন ডলারের। আর এ অর্থ সহায়তায় এগিয়ে আসতে পারে বহুজাতিক ব্যাংকগুলো। ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন’র আওতায় এই তহবিল গঠনের আভাসও দিয়েছেন মহাসচিব।

আন্তোনিও গুতেরেস বিশ্বের সকল দাতা সংস্থা এবং সেবামূলক সংগঠনের অধিকর্তার প্রতি একই আহ্বান রেখেছেন।

সূত্র: বিডি প্রতিদিন
আইএ/ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button