দক্ষিণ এশিয়া

হোস্টেলের ছাত্রীদের ভিডিও ফাঁস, আত্মহত্যার চেষ্টায় হুলস্থূল বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর

চণ্ডীগড়, ১৮ সেপ্টেম্বর – ভারতের পাঞ্জাবের মোহালিতে এক ছাত্রী হোস্টেলের একাধিক শিক্ষার্থীর গোসলের ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়।

এ ঘটনায় পুলিশ মামলা নিয়েছে এবং এক ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তার হোস্টেলের ছাত্রীদের গোসলের ভিডিও করে শিমলায় এক ছেলের কাছে সেগুলো পাঠিয়ে দেয়ও। ওই ছেলেই পরে সেসব ভিডিও অনলাইনে ছাড়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনা জানাজানি হলে যে ছাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার শাস্তির দাবিতে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

ওই ছাত্রী হোস্টেল মেটদের গোসলের ৬০টির মতো ভিডিও করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেলেও পুলিশ বলছে, তারা এখন পর্যন্ত একটি ভিডিওরই সন্ধান পেয়েছে।

গ্রেপ্তার ছাত্রীও কেবল একটি ভিডিও করার কথাই স্বীকার করেছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় একাধিক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে ‘গুজব’ বলেছে।

বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বলছে, এক ছাত্রী বেহুশ হয়ে পড়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

মোহালির পুলিশপ্রধান বিবেক সোনি বলেছেন, কোনো মৃত্যু বা আত্মহত্যা চেষ্টার খবর পাওয়া যায়নি। মানুষজনকে এ সংক্রান্ত গুজবে কান না দিতেও অনুরোধ করেছেন তিনি।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও পাঞ্জাবের শাসকদল আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল এ ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ অ্যাখ্যা দিয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

“দোষী সবাই কঠিন শাস্তি পাবে। ক্ষতির শিকার ছাত্রীদের সাহস আছে। আমরা সবাই তোমাদের সঙ্গে আছি। সবাই ধৈর্যধারণ করুন,” টুইটারে এমনটাই লিখেছেন তিনি।

পাঞ্জাব রাজ্যের নারী কমিশনের চেয়ারপারসন মনীষা গুলাতি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

“এটা গুরুতর বিষয়। তদন্ত চলছে। আমি সব শিক্ষার্থীর অভিভাবককে আশ্বস্ত করতে চাই, দোষীদের ছাড়া হবে না,” বার্তা সংস্থা এএনআইকে এমনটাই বলেছেন তিনি।

কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা পবন খেরা জনগণের প্রতি ফাঁস হওয়া ভিডিওটি আরও ছড়িয়ে না দিতে অনুরোধ করেছেন।

“দায়িত্বশীল ভারতীয়রা, দয়া করে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের আতঙ্কজনক এমএমএস/ভিডিওটি পুনরায় পোস্ট, ফরোয়ার্ড বা শেয়ার করবেন না। চলুন আমরা ডিজিটাল দায়িত্বশীল সমাজ হয়ে উঠি,” বলেছেন তিনি।

এন এ/ ১৮ সেপ্টেম্বর

Back to top button