জাতীয়

পায়ে পা দিয়ে গন্ডগোলের চেষ্টা করছে বিএনপি: হানিফ

ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর – আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত নতুন করে রাজপথে নেমেছে। সভা-সমাবেশের নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তারা উস্কানি দিচ্ছে, পায়ে পা দিয়ে গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তাদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, গোলযোগ সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির লক্ষ্য। তারা যেকোনো মূল্যে সরকারের পতন ঘটাতে চায়। তারা বলে তারা নির্বাচনে যাবে না। কারণ তারা জানে, তাদের দলের দুই শীর্ষ নেতা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী ও হত্যার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত। জনগণ তাদের ভোট দেবে না।

তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্য সরকারের পতন ঘটানো। তাদের ধারণা, এমনটি করতে পারলেই অন্য কোনো সামরিক সরকার এসে সব দণ্ড মওকুফ করে নির্বাচন করার সুযোগ দেবে। কিন্তু বাংলাদেশে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ নেই।

হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করি, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে। তারপরও যদি কোনো দল অংশ না নেয়, তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই।

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা নাকি পাকিস্তান আমলেই ভাল ছিল। তার এ কথার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় যে, তিনি পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী। তারা যে সব রাজাকারের বংশধর, তা তাদের কথাবার্তাতেই প্রমাণিত হচ্ছে।
‘তারা এখনো আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখতে পারে না। তারা চায়, বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। দলটির অধিকাংশ নেতাই পাকিস্তানী আদর্শের অনুসারী।
অতীতে আন্তর্জাতিক পরিসরে বঙ্গবন্ধুকন্যার মতো অন্য কোনো বাংলাদেশি রাষ্ট্রনায়ক এমনভাবে মূল্যায়িত হননি উল্লেখ করে হানিফ বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক মূল্যায়ন সম্মান-গৌরবের। শেখ হাসিনার ওপর দেশের মানুষের আস্থা আছে, বর্হিবিশ্বেরও আস্থা আছে।

তিনি বলেন, শ্রীলংকা দেউলিয়া হওয়ার কারণে সে দেশের সরকারের পতন হয়েছে। সে সময় আমাদের দেশের কিছু রাজনীতিবিদ, বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা বলেছিলেন, দেশের অবস্থা খুব খারাপ, শ্রীলংকার পথে হাঁটছে। তখন আমরা বলেছি, বাংলাদেশ কখনো শ্রীলংকা হবে না।

বিএনপির শাসনামলে দেশে ভয়াবহ খাদ্যঘাটতি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রথমে গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষিকে। তিনি কৃষকের দোরগোড়ায় সার পৌঁছে দিয়েছেন। ভালো বীজ, সারের সুষম বণ্টনের কারণে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

হানিফ বলেন, করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। নেদারল্যাণ্ডসে ৩০ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে ২০-৩০ শতাংশ দাম বেড়েছে। বাংলাদেশ এ বিশ্বব্যবস্থার বাইরে নয় বলেই কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে।

‘এছাড়া কিছু ব্যবসায়ীর অসৎ মানসিকতার কারণে কিছু জিনিসের দাম অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়েছে। তবে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতি অস্বস্তিকর অবস্থায় নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের অর্থনীতি গতিশীল রেখে কাজ করে যাচ্ছেন।’

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের আমন্ত্রিত নেতারা।

সূত্র: জাগোনিউজ
আইএ/ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button