মানিকগঞ্জে যুবদল নেতা কাবুল হত্যার ২৩ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জ, ১৬ সেপ্টেম্বর – মানিকগঞ্জে আলোচিত যুবদল নেতা কাবুল খান হত্যা মামলার ২৩ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিপ্লব হোসেনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সকালের দিকে গ্রেপ্তার হওয়া বিপ্লব হোসেনকে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-৪ এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার লে, কমান্ডার আরিফ হোসেন জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে পলাতক আসামি বিপ্লব তার জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম বদল করেন। ঘন ঘন পেশা বদল করেন।
প্রথমদিকে তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দোকানের কর্মচারি, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করেন। পরবর্তীতে রাজধানীর আগারগাঁও পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিসে প্রতারণামূলক দালালির কাজ করেন।
র্যাব জানায়, বিপ্লব হোসেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পাঞ্জনখাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকার মিরপুরের ৬০ ফিট ভাঙা ব্রিজ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। ১৯৯৯ সালের ২০ জুলাই রাজনৈতিক মতবিরোধের জের ধরে জেলা সদরের গড়পাড়া ঘোষের বাজার এলাকায় বিপ্লব ও তার সহযোগীরা যুবদল নেতা কাবুল খানকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় পর দিন জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হোসেন বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা পালিয়ে থাকেন। পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০০৯ সালে আদালত আসামি বিপ্লব হোসেন ও মনির চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং নিপ্পাই হোসেন, মোশারফ হোসেন, সুনীল সাহা, উজ্জ্বল হোসেন ও শহীদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ছয় আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এরপর পুলিশ মনির, উজ্জ্বল ও মোশারফকে গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালতে আপিল করলে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরে উজ্জ্বল উচ্চ আদালতে আপিল করলে বিচারক মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।
প্রায় চার বছর আগে গ্রেপ্তার আসামি মোশারফ কারাগারে মারা যান। এ ছাড়া মনির বর্তমানে জেলহাজতে।
সূত্র: দেশ রূপান্তর
আইএ/ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২