গুলি করলেও কেউ পিছু হটবেন না, নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে: টুকু
ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর – নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আন্দোলন কিন্তু কেবল শুরু। আপনারা কেউ পিছু হটবেন না। গুলি করলে সামনে যাবেন গুলি বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ছলচাতুরি করে করে বিদেশি শক্তির সাহায্য নিয়ে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। প্রত্যেকবার ২০০৮ সাল হবে না, একবার ২০১৪ সাল হবে না, একবার ২০১৮ সাল হবে না। ২০২৩ সাল আমরা হয় মরব, না হয় গণতন্ত্রকে উদ্ধার করব।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে উত্তরা–পশ্চিম থানার কামারপাড়া ব্রিজ এলাকায় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপির সমাবেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে তাদেরকে ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করছে। আমি বলতে চাই ডাণ্ডার দিন শেষ, এখন আসছে জনগণের দিন। জনগণ যখন জেগে উঠবে আপনাদের ডাণ্ডা আপনাদের মাথায় পড়বে। শ্রীলঙ্কায় দেখেছেন না উলঙ্গ করে ছেড়ে দিয়েছে।
টুকু বলেন, যখন দেখি পুলিশ ভাইয়েরা জনগণের উপর গুলি করে, তখন আমি বড় কষ্ট পাই। এই পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। আর তারা আজকে জনগণের বুকে গুলি করে তাজা রক্ত বের করে। সব পুলিশকে দোষ দিচ্ছি না। পুলিশ ভাইয়েরা এই কাজগুলো করতে চায় না। কিন্তু তারা চাকরির ভয়ে এই কাজগুলো করছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে জনগণের জন্য। বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চায়। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। কারণ যাতে জনগণ তাদের ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমত সরকার নির্বাচিত করতে পারে। বাংলাদেশ যদি আবার মুক্ত হয়, বাংলাদেশে যদি আবার গণতন্ত্র চর্চা হয়, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে আমরা একা ক্ষমতায় যাব না; গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য যারা সংগ্রাম করেছে তাদের সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করব। তারপর নতুন বাংলাদেশের জন্ম দেব, এটাই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, দেশে একদলীয় শাসন ছিল, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাকশাল থেকে আওয়ামী লীগ হয়ে আজকে আপনারা ক্ষমতায় আছেন জোর করে।
টুকু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কে দিয়েছে, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছিলেন। তাই আইন পাস করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা করেছিলেন। পরাজয় বরণ করে বিরোধী দলে বসেছিলেন। এটাকেই বলে গণতন্ত্র। বেগম খালেদা জিয়ার কাছ থেকে গণতন্ত্র শিক্ষা গ্রহণ করুন। তারপরে গণতন্ত্রের কথা বলেন।
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম জোনের উদ্যোগে জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে এই সমাবেশে অংশ নেয়।
ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমানের সভাপতিতে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সূত্র: ঢাকাটাইমস
আইএ/ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২